বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমিকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একদল সৎ ও দক্ষ লোকের প্রয়োজন। জামায়াতে ইসলামী সেই সৎ ও দক্ষ লোক তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। সমাজ পরিবর্তনের জন্য নিজেদেরকে কুরআনের রঙে রঙিন করতে হবে।”
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী চট্টগ্রাম উত্তর জেলার উদ্যোগে উপজেলা ও থানা কর্মপরিষদ সদস্যদের নিয়ে দিনব্যাপী শিক্ষা বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আমীর অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারি জনাব আলাউদ্দিন শিকদার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “বর্তমান সময়ের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় থানা দায়িত্বশীলদেরকে অধ্যয়নে মনোনিবেশ করতে হবে। সংগঠন পরিচালায় তাদেরকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সাহসিকতা প্রদর্শন করতে ও সবর অবলম্বন করতে হবে। ২০২৪ সালের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সকলকে যত্নশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নিয়মিত কোরআন অধ্যয়ন করতে হবে। আত্মীয়-স্বজনের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে। তাদের খোঁজখবর নিতে হবে। প্রত্যাশিত ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের জন্য দায়িত্বশীলদের পাগলপারা হয়ে মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে সাহসিকতার সাথে ময়দানে তৎপরতা চালাতে হবে। হযরত হানজালার (রাঃ) মতো বিপ্লবী চরিত্রকে ধারণ করতে হবে।”
মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বকে তাক্বওয়ার ভিত্তিতে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। আমরা এদেশের মানুষকে ইসলামের সুমহান আদর্শের দিকে আহবান জানাচ্ছি। আখিরাতে জাহান্নামের কঠিন আযাব থেকে মুক্তির জন্য আপনাদেরকে আল্লাহর খাটি বান্দাহ হিসেবে জীবন গঠনের আহবান জানাচ্ছি। ফলে একজন দায়িত্বশীল হিসেবে আমাদের শারীরিক ও নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান হতে হবে। নিজেদের আধ্যাত্মিকতা বা রূহানি শক্তির মাধ্যমে এদেশের মানুষ ও জনশক্তিকে প্রভাবিত করতে হবে। ভিশন-৪২ কে বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে দারসুল কুরআন পেশ করেন চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর জনাব নজরুল ইসলাম।
শিক্ষাবৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি জনাব ফজলুল করিম, সাংগঠনিক সেক্রেটারি আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরীসহ জেলা কর্মপরিষদের সদস্য, উপজেলা আমীর ও থানা আমীরবৃন্দ।