বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের বলেন, “আজ সামগ্রীকভাবে আমাদের দেশের যে পরিস্থিতি, তাতে সৎ, দক্ষ এবং যোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া দেশকে উন্নয়নের রাজপথে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। এদেশকে রক্ষার জন্য জামায়াতের প্রতিটি কর্মীকে একজন সৎ, দক্ষ এবং যোগ্য নেতা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। তিনি ইসরাইলি দখলদারির অবসান ঘটিয়ে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনের পাশে মুসলিম উম্মাহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
রবিবার ১৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমীর মাওলানা আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে এবং মহানগরী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও অঞ্চল পরিচালক জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দীন আহমদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর জনাব মুমিনুল হক সরকার, ঢাকা দক্ষিণ জেলা আমীর জনাব মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন, নরসিংদী জেলা আমীর জনাব মুসলেহ উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মু. আবদুল কাইয়ুম প্রমূখ।
ডা. আব্দুল্লাহ মু. তাহের বলেন, ইসলামের ব্যাপক প্রচার এবং প্রসারের কাজ জামায়াতের কর্মীদের নিরলসভাবে করতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে এ কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মনে রাখবেন, অতীতে ইসলামের প্রচার এবং প্রতিষ্ঠার কাজ যারাই করেছেন তাদেরকে জেল, জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। আজকেও যারা এই কাজ করবেন তাদেরকেও নানা ধরনের জুলুম নির্যাতনের শিকার হতে হবে।
আগামীতে এদেশে দ্বীনের বিজয়ের জন্য সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথাযথভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। এজন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া দ্বীনের বিজয় সম্ভব নয়।
প্রত্যেক জামায়াত কর্মীকে তিনটি কাজ করতে হবে-
১. সংগঠনকে আরো বেশী গণ-মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
২. ব্যাপকহারে সংগঠনের দাওয়াতী কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।
৩. নিজেদেরকে দাওয়াতদানের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, “আমরা যারা এই আন্দোলনে শামিল হয়েছি তাদেরকে একনিষ্ঠভাবে সন্দেহ সংশয় এর উর্ধ্বে উঠে ইসলামী আন্দোলনের কাজ করে যেতে হবে। আমরা যদি জান্নাতে যেতে চাই তাহলে একনিষ্ঠ ভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজ অবশ্যই করতে হবে। এ পথে আল্লাহর সাহায্যই হচ্ছে আমাদের সম্বল।”
সভাপতির বক্তব্যে জনাব আবদুল জব্বার বলেন, “পরিস্থিতি যাই হোক আমাদেরকে দেশের স্বাধীনতা - সার্বভৌমত্ব ও ইসলাম রক্ষায় সর্বস্ব দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। পবিত্র কুরআনের ভাষায় হালকা কিংবা ভারী যে অবস্থায় আছি, সে অবস্থাতেই বেরিয়ে পড়তে হবে। দ্বীন কায়েমের সংগ্রামে অংশগ্রহণ করা সবচেয়ে বড় ফরজ। এজন্য আমাদের সবাইকে সক্রিয়ভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে।”