৮ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ৯:৫০

রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের উপজেলা আমীর সম্মেলন অনুষ্ঠিত

রমজানের পূর্বেই ডা. শফিকুর রহমানসহ আটক সকল নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিন

-মাওলানা আবদুল হালিম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “আসন্ন মাহে রমজানের পূর্বেই আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জামায়াতের আটক সকল নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে হবে। কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ডামি ও ফেক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে। অনির্বাচিত সরকার কখনোই জনবান্ধব হতে পারে না। দুর্নীতি, দুঃশাসন, বিদেশে অর্থ পাচার, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নাগরিক জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব চরম ও গভীর সংকটে নিপতিত। স্বাধীন-সার্বভৌম কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইস্যুভিত্তিক এবং জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীকে আপামর জনসাধারণকে সাথে নিয়ে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে হবে।”

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের উদ্যোগে ৮ মার্চ, শুক্রবার, উপজেলা আমীর ও সেক্রেটারিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আবদুল হালিম উপরোক্ত কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সহকারী অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মমতাজ উদ্দিন-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা আমীর মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী জেলা জনাব আবদুর রসিদ, ঠাকুরগাঁও জেলা আমীর মাওলানা আবদুল হাকিম, দিনাজপুর উত্তর সাংগঠনিক জেলা আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, রংপুর জেলা আমীর ও মিঠাপুকুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম রব্বানী ও গাইবান্ধা জেলা আমীর ও সাবেক গাইবান্ধা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল করিম ও পঞ্চগড় জেলা আমীর মাওলানা ইকবাল হোসাইন প্রমূখ।

মাওলানা আবদুল হালিম আরও বলেন, “বর্তমান সময়ের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় থানা দায়িত্বশীলদেরকে অধ্যয়নে মনোনিবেশ করতে হবে। সংগঠন পরিচালায় তাদেরকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সাহসিকতা প্রদর্শন করতে ও সবর অবলম্বন করতে হবে। ২০২৪ সালের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সকলকে যত্নশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। মাহে রমাদানে আত্মগঠনের কাজকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে জনশক্তিকে রমাদান থেকে ফায়দা হাসিল করতে হবে।”

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর যাবত অনির্বাচিত সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও নিপীড়নে জামায়াতের ১১ জন শীর্ষনেতাসহ ৩ শতাধিক নেতাকর্মী শহীদ হন এবং লক্ষাধিক নেতা-কর্মীকে কারাগারে নেয়ার পরও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করা সম্ভব হয়নি এবং কখনোই সম্ভব হবে না, ইনশাআল্লাহ। এ জমিনে দীনের বিজয় হবেই ইনশাআল্লাহ।”