২ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৮:৩৪

সিলেট উত্তর সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে জামায়াত অবশ্যই নিবন্ধন ফিরে পাবে

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ এখনো বাকশালী চরিত্র থেকে বের হতে পারেনি। তারা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা একদলীয় বাকশাল ও ফ্যাসিজমে বিশ্বাসী। এই মনোভাব থেকেই তারা জামায়াতের মত একটি নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক ও শান্তিপ্রিয় ইসলামী রাজনৈতিক দলের নিবন্ধণ সংক্রান্ত মামলাটি শুনানি না করেই খারিজ করে দিয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দেশে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে জামায়াত অবশ্যই নিবন্ধন ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সিলেট উত্তর সাংগঠনিক জেলা জামায়াত কর্তৃক ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম-এ আয়োজিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ অধিকারের কথা বলে মুখে ফেনা তোলে। অথচ তারা ক্ষমতায় এসে ভোটাধিকারসহ নাগরিকদের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে দেশকে ধ্বংসের অতল গহ্বরে ঠেলে দিয়েছে। তারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে একদলীয় ও ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে। কাজেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। জনগণ জুলুমবাজ আওয়ামী সরকারকে বিশ্বাস করে না। তাদের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় আসা একেবারেই অসম্ভব। তাই তারা আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে ফরমায়েসি তফসিল ঘোষণা করিয়েছে। দেশবাসী আওয়ামী লীগকে জিতিয়ে আনার তথাকথিত তফসিল মানে না।

বিশেষ অতিথি সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, দেশবাসী জামায়াতে ইসলামীকে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল মনে করে। জালিম সরকার বিরোধীদলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে নির্বাচনের নামে প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে। সংগ্রামী দেশবাসী স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দিবে না।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার জামায়াতের ৫ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে ফাঁসির দন্ড দিয়ে হত্যা করেছে। বিগত ১৫ বছরে জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩০০ নেতাকর্মীকে শহীদ করা হয়েছে। পঙ্গু করা হয়েছে কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। প্রায় লক্ষাধিক নেতাকর্মীকে বন্দি রাখা হয়েছিল। এখনো বহু নেতাকর্মী আটক রয়েছেন। জুলুম-নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েও জামায়াতে ইসলামীকে স্তব্ধ করা যায়নি, ভবিষ্যতেও যাবে না, ইনশাআল্লাহ।

কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডঃ এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, বিশ্বাসঘাতক ও অর্থলোভী কতিপয় লোককে দিয়ে ভূঁইফোড় মৌসুমি দল তৈরি করে ২০১৪ ও ২০১৮ এর মতো নির্বাচনের নামে আরও একটি প্রহসনের নাটক করতে যাচ্ছে। দেশবাসী আওয়ামী লীগকে আর যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যেতে দিবে না।

জেলা আমীর হাফেজ আনোয়ার হোসেইন খান এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার ও জেলা সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।