সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ আজ এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, জনগণের কথা বলার অধিকার নেই। জামায়াতকে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। মানুষের মৌলিক অধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত। সমাজের সর্বত্র এখন অন্যায়-অনাচার ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের জনগণ ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেয়া হচ্ছে। সরকার তার সামগ্রিক ব্যর্থতায় দেশকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে সরকার শেষ রক্ষা পাবে না।
২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আয়োজিত উপজেলা আমীর অধ্যাপক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় এক দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি দেশের ক্রান্তিকালে ভয়-ভীতির তোয়াক্কা না করে সংগঠন ও চলমান আন্দোলনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে ভূমিকা পালনের জন্য তিনি দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের আন্দোলনকে ভয় পেয়ে জামায়াতের আমীর ডা: শফিকুর রহমান ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে আটক রেখেছে। প্রতিদিন নেতাকর্মীদের কোর্টের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ জামিন লাভ করা সত্ত্বেও সরকার তাদেরকে মুক্তি দিচ্ছে না। উল্টো নতুন নতুন সাজানো মামলা দিয়ে পুনরায় বন্দি করে তাদের মুক্তির পথ রুদ্ধ করেছে। দমন-পীড়ন চালিয়ে জামায়াতকে আন্দোলন থেকে সরিয়ে রাখা যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা বারবার নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। অথচ ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে অতীতের ন্যায় আবারো প্রহসনের নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। দেশবাসী জেগে উঠেছে। দেশের জনগণ তাদেরকে আর পাতানো নির্বাচনের কোনো সুযোগ দিবে না। গণআন্দোলনের মুখে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিতে তাদেরকে বাধ্য করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের আমীর জননেতা জনাব মোঃ আব্দুল করিম। গাইবান্ধা জেলা নায়েবে আমীর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাজেদুর রহমান ছাড়াও জেলা ও উপজেলা জামায়াত ও শিবির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।