আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার নাগরিকদের ভোটাধিকার হরণ করেছে। তারা দ্রব্য মূল্যের ঊর্দ্ধগতি রোধ করতে পারেনি। বড় বড় প্রকল্পের নামে জনগণের অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে টাকা পাচার করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গায়েবি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হরহামেশাই বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। প্রসাশনিক রাষ্ট্রযন্ত্র ও নির্বাচন কমিশনকে দলীয় আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদেরকে শপথবদ্ধ রাজনৈতিক দলীয় কর্মীতে পরিণত করে বর্তমান সরকার ইতিহাসে কুনজির স্থাপন করেছে। ফ্যাসিস্ট সরকার আলেম-উলামা ও নিরীহ মানুষের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালাতেও কুন্ঠাবোধ করছে না। এ অভিশাপ থেকে মুক্তি এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের লক্ষ্যে জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সকল আন্দোলনে অতীতে ছিলো, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।
১৫ সেপ্টেম্বর জুমআ বার যশোর পূর্ব সাংগঠনিক জেলা আয়োজিত জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাষ্টার মোঃ নূরুন্নবীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা আবুজাফরের সঞ্চালনায় জেলার সকল উপজেলার কর্মীদের নিয়ে ভার্চুয়াল কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান উপরোক্ত কথা বলেন।
কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জামায়াতের প্রত্যেক কর্মীকে বেশি বেশি সালাম দেয়া অভ্যাসে পরিণত করতে হবে, অসহায় ও ক্ষুধার্ত মানুষকে খাবার দিতে হবে এবং নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য। হামলা-মামলা দিয়ে, কারাগারের ভয় দেখিয়ে এবং নেতাকর্র্মীদের ফাঁসি দিয়ে যারা জামায়াতে ইসলামীকে দমন করতে চায়, তারাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে, ইনশাআল্লাহ। জামায়াতে ইসলামী কোনো ভূঁই ফোঁড় সংগঠন নয় যে, দমন-পীড়ন চালালেই শেষ হয়ে যাবে। নানা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে।
বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আজীজুর রহমান, যশোর-শহর সাংগঠনিক জেলার আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য অধ্যাপক মোঃ গোলাম রছুল, জেলা যশোর জেলা পূর্বের সাবেক নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আজিজ, সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী এ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।