৪ আগস্ট ২০২৩, শুক্রবার, ১:৩৪

চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের মজলিসে শূরার অধিবেশন অনুষ্ঠিত

স্বৈরশাসন ও জুলুমতন্ত্র থেকে দেশকে মুক্ত করতে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের মজলিসে শূরার অধিবেশন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মোহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা'ছুম বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এ দেশের স্বীকৃত রাজনৈতিক দল। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। সংবিধানে যেকোনো নাগরিকের কথা বলার অধিকার রয়েছে। সভা-সমাবেশ করা আমাদের নাগরিক অধিকার। বিশ্ব দেখেছে জামায়াতে ইসলামী সমাবেশের সহযোগিতা চেয়েছে কিন্তু তারা সে সহযোগিতা করেনি। বিশ্ব এটাও দেখেছে, আমরা গত ১০ জুনের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত করেছি। সরকার সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।

তিনি বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যে ক্ষতি করেনি। ইসলামী আদর্শ, ইসলামী আন্দোলন এবং ইসলামের মূল্যবোধের উপর বেশি ক্ষতি করেছে। স্বৈরাচারের কবলে পুরো দেশ নিমজ্জিত। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। বিচার ব্যবস্থায় অনিয়ম, প্রশাসনের দলীয়করণ, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে চলেছে। রাষ্ট্র শক্তিকে ব্যবহার করে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনই এ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে পারে। তারা উন্নয়ন অগ্রগতির কথা বলে দুর্নীতি ও লুটপাট করে যাচ্ছে। তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থতি ধৈয্যের সাথে মোকাবেলা করে যেতে নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, জনগণের সেবায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। জনসেবার মাধ্যমে জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিতে হবে। সকল নেতৃবৃন্দকে মানব সেবায় আন্তরিক ও সাহসী ভুমিকা পালন করে যেতে হবে।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় অধিবেশনে দারসূল কোরআন পেশ করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ অধ্যাপক মফিজুর রহমান।

অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও নগর নায়েবে আমীর নজরুল ইসলাম, মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারিবৃন্দ। অধিবেশনে মজলিশে শুরার সদস্যগণও গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানে স্বাধীনভাবে চলাফেরা, মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করার অধিকার রাখা হয়েছে। এতে বাঁধার ক্ষমতা কারো নেই। তিনি বলেন দেশের কোথাও সভা সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে সংবিধানের চরম অশ্রদ্ধা করে চলেছে সরকার। জামায়াতের বেলায় সরকার সংবিধান, দেশের প্রচলিত আইন, মানবাধিকার কোন কিছুরই তোয়াক্ষা করছেনা যা জঘন্য অন্যায় ও স্পষ্টভাবে সংবিধানের লংঘন। জামায়াতে ইসলামীর উপর এ অন্যায় ও জুলুম জনগণ কোনভাবেই মেনে নেবেনা। নিজেদের পতন বুঝতে পেরে দল ও সরকারকে একাকার করে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, মিথ্যা-গায়েবী মামলা এবং বিরুধী দলের উপর চূড়ান্ত দমন-পীড়নের পথ বেচে নিয়েছে যা তাদের পতনেরই বার্তা দেয়। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরো বেগবান করে স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত করতে আরো সোচ্চার ভূমিকা পালনের জন্যে তিনি চট্টলবাসীর প্রতি আহবান জানান।