১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমানের পক্ষে সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলায় বজ্রপাতে নিহতদের ৯টি পরিবার ও আহতদের ৬টি পরিবারসহ মোট ১৫ জন কৃষকের মাঝে এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এ সময় তিনি উল্লাপাড়ার গণমানুষের নেতা ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের সালাম ও দোয়া তাদের নিকট পৌঁছে দেন।

মাওলানা আবদুল হালিম নিহত ও আহতদের পরিবারের লোকদের প্রতি শোক ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন এবং তাদের সান্ত্বনা প্রদান করেন। তিনি নিহতদের স্বজনদের সর্বশেষ অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং নিহত ব্যক্তিবর্গের পরিবারের অভিভাবকদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেন। তিনি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করার জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট কায়মনোবাক্যে দোয়া করেন। সেই সাথে তাদের পরিবার-পরিজনদের ধৈর্যধারণ এবং এই শোক কাটিয়ে উঠার জন্য পরিবারের সদস্য এবং উপস্থিত লোকদের নিয়ে মহান রবের নিকট তাওফিক কামনা করেন।

মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “জামায়াতে ইসলামী গতানুগতিক কোনো রাজনৈতিক দল নয় বরং জামায়াত একটি গণতান্ত্রিক, আদর্শবাদী ও কল্যাণমুখী ইসলামী দল। মূলত গণমানুষের কল্যাণ ও ন্যায়-ইনাসাফের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য।

তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী জাতির যেকোনো ক্রান্তিকালে জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ও আর্ত-মানবতার সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গণমানুষের জন্য আমাদের এই কল্যাণ আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে-ইনশাআল্লাহ। একটি কল্যাণকামী দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী সব সময় তার সামর্থ্যানুযায়ী অসহায় মানষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালায়। আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসে কিছুটা হলেও দরিদ্র-অসহায় মানুষ উপকৃত হবেন।”

উক্ত ১৫টি কৃষক পরিবারের সাথে মতবিনিময় ও আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আমীর মাওলানা শাহীনূর আলম, উল্লাপাড়া উপজেলা আমীর ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব শাহজাহান আলী এবং জেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি তরিকুল ইসলামসহ স্থানীয় অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের মাটিকোঁড়া ও শিবপুর গ্রামে এই মর্মান্তিক বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।