২৬ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার, ১১:২৪

অধ্যাপক মতিয়ার রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়েই সরকার তাকে তার স্ত্রীসহ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তার আসনটি দলীয়ভাবে দখল করার চক্রান্ত করছে

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ আসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমানকে তার স্ত্রীসহ ঢাকা থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর যে ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতারা উত্থাপন করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর এবং সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ২৬ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ফ্যাসিবাদী সরকার নির্বাচন বানচালের যে ষড়যন্ত্র করছে তার অংশ হিসেবেই ২৬ ডিসেম্বর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঝিনাইদহ-৩ আসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের জাতীয় সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমানকে তার স্ত্রীসহ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে এবং আওয়ামী লীগের নেতারা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ঝিনাইদহ-৩ আসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের জাতীয় সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমানকে তার স্ত্রীসহ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ও জামায়াতে ইসলামী এবং এর নেতাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাদের ভিত্তিহীন মিথ্যা অপপ্রচারের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

অধ্যাপক মতিয়ার রহমান একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। তার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়েই সরকার তাকে তার স্ত্রীসহ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তার আসনটি দলীয়ভাবে দখল করার চক্রান্ত করছে।

ফ্যাসিবাদী সরকারের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের পায়ের নীচে মাটি নেই। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে সরকারী জোটের পরাজয় অবধারিত। তা বুঝতে পেরেই সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বেআইনীভাবে ব্যবহার করে ধানের শীষ প্রতীকের পদ প্রার্থীদের একদিকে গ্রেফতার করছে, অন্যদিকে প্রার্থীদের উপর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ঐক্যবদ্ধভাবে হামলা করে তাদের হত্যার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ তাদের সমর্থক সংবাদপত্র ও মিডিয়ায় জামায়াতে ইসলামীসহ ২০ দলীয় জোটের এবং সকল বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য ২০ দলীয় জোটসহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচন বর্জনে বাধ্য করা।

তাদের এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগের নেতারা গত ২৫ ডিসেম্বর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ‘পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সহায়তায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বড় ধরনের সহিংসতা করার ষড়যন্ত্র করার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের’ ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছে। তাদের এ অভিযোগের মধ্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই। শুধু তাই নয়, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের জাতীয় সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ২৫ ডিসেম্বর টিভি চ্যানেল ৭১-এর একটি টকশোতে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র কোন সম্পর্ক নেই।

কাজেই তাদের সহায়তায় জামায়াতের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের জন্য সহিংসতার ষড়যন্ত্র করার প্রশ্নই আসে না। আমি এ ধরনের অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জানাতে চাই যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে না। বরং আওয়ামী লীগই ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে সিদ্ধহস্ত। তারাই জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীদের গ্রেফতার করে নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে ২০ দলীয় জোটসহ অন্যান্য বিরোধী দলকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনে বাধ্য করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। সেনাবাহিনী কিংবা সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে জামায়াতের অপপ্রচারের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা।

সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের জাতীয় সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের জনপ্রিয়তায় ভীত ও বিচলিত হয়েই তার বিরুদ্ধে টিভি চ্যানেল ৭১-এর টকশোতে নাশকতায় জড়িত থাকার মিথ্যা অভিাযাগ করে পানি ঘোলা করছে এবং ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ঘায়েল করার ষড়যন্ত্র করছে। তাদের এসব মিথ্যা প্রচারণা দেশের জনগণ বিশ্বাস  করে না।  

তাই জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করে এবং ২০ দলীয় জোটের ধানের শীষ প্রতীকের জাতীয় সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমানকে স্ত্রীসহ এবং ২০ দলীয় জোট ও অন্যান্য বিরোধী দলের গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”