২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ৪:৪২

সারা দেশে ধানের শীষ প্রতীকের নেতা-কর্মীদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৪ আসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ আবদুল আলীম ও প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারসহ সারা দেশে ধানের শীষ প্রতীকের নেতা-কর্মীদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ২৫ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আদৌ চায় না বলেই সারা দেশে ধানের শীষ প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থক নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে। বাগেরহাট-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ আবদুল আলীমসহ সারা দেশে অব্যাহতভাবে ধানের শীষ প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থক নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মীসহ বাগেরহাট ৪ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ আব্দুল আলীমকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের পূর্বে ৩০ জনকে আহত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা আবদুল হাকিমের নির্বাচনী সমন্বয়ক রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে এবং কুমিল্লা ১১ আসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নির্বাচনী সমন্বয়ক এড: মো: শাহজাহান ও তার সহকারী এড: বদিউল আলম সুজনকে।

সাতক্ষীরা-৪ আসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের অত্যন্ত জনপ্রিয় জাতীয় সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী ও ২বার নির্বাচিত সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলামকে কয়েকদিন পূর্বে অন্যায়ভাবে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার স্ত্রী ও কন্যা তার সাথে দেখা করতে গেলে জেলগেট থেকে পুলিশ তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী ও অমানবিক।
'

গত ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে ২০ দলীয় জোটের মনোনীত ধানের শীর্ষ প্রতীকের ১০ জন এমপি পদ প্রার্থী ও ২২৬ জন নেতা-কর্মীর উপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হামলা করে তাদের আহত করেছে। এহেন পরিস্থিতিতে মানুষ ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাবে কিভাবে? সারা দেশেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা জনগণকে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে এবং ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থক সক্রিয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার এবং মারধর করে এলাকা ছাড়া করে দিচ্ছে। সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য হলো ভোটার বিহিন একতরফা ভোট ডাকাতির প্রহসনের নির্বাচনের নাটক করা। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে তারা কিছুুতেই রাজী নয়। তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর মত ব্যবহার করে তাদের ব্যর্থ ও অকার্যকর করে দিয়েছে।
২৪ ডিসেম্বর সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের পরেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি বরং আরো অবনতি ঘটেছে। জাতির আশা-ভরসা ও ঐক্যের প্রতীক দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সরকার ব্যর্থ ও অকার্যকর করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা আশা করি তারা জনগণকে সাথে নিয়ে এ ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিবেন ইনশা-আল্লাহ। সরকারের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া বিরাজমান সংকট থেকে জাতিকে কিছুতেই উদ্ধার করা সম্ভব নয়।

বাগেরহাট-৪ আসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনীত ধানের শীর্ষ প্রতীকের জাতীয় সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী অধ্যক্ষ আবদুল আলীম ও সাতক্ষীরা ৪ আসনের ২০ দলীয় জোট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী গাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রী এবং কন্যাসহ সারা দেশে ২০ দলীয় জোটের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে মুক্তি প্রদান ও হামলা-মামলা এবং গ্রেফতার অভিযান বন্ধের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”