২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, সোমবার, ৬:৫৮

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করার হীন উদ্দেশ্যেই অধ্যাপক রফিকুল ইসলামসহ ৩ জন নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী অঞ্চল পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলামসহ ৩ জন নেতাকে আজ ২৪ ডিসেম্বর পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ২৪ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করার হীন উদ্দেশ্যেই অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে পুলিশ দিয়ে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করিয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের পরও পুলিশের অন্যায় গ্রেফতার অভিযান বন্ধ হচ্ছে না। ২০-দলীয় জোটের মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী কেউই নির্বাচনী তৎপরতা চালাতে পারছে না। পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ঐক্যবদ্ধভাবে বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনী কর্মকান্ডে বাধা দিচ্ছে। দেশবাসী আশা করেছিল সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের পরে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু হবে। কিন্তু আজ ২৪ ডিসেম্বর তারিখে তাদের মোতায়েনের পরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। বরং পরিস্থিতির আরো অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ অবস্থা বিরাজ করলে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনও ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতই একতরফা ব্যালট ডাকাতির প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কাই প্রবল হচ্ছে।  

তাই আগামী নির্বাচন যাতে প্রহসনের একতরফা ব্যালট ডাকাতির নির্বাচনে পরিণত না হয় সে জন্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলামসহ সারা দেশে ২০-দলীয় জোটের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”