১০ ডিসেম্বর ২০১৮, সোমবার, ৮:৪৩

সরকার বিরোধীদলগুলোকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করার হীন উদ্দেশ্যেই প্রশাসনের সহযোগিতায় ফ্যাসিবাদী তান্ডব শুরু করেছে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চাঁদপুর জেলা শাখার সেক্রেটারী মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজীকে ১০ ডিসেম্বর দুপুরে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার এবং ৯ ডিসেম্বর রাতে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের ২টি ছাপাখানা থেকে ধানের শীষ প্রতীকের ১৮ হাজার পোস্টার ও ৩ হাজার হ্যান্ড বিল ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের লুট করে নিয়ে যাওয়া এবং ছাপাখানার একজন কর্মচারীকে বেদম প্রহার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর এবং সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ১০ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “চাঁদপুর জেলা শাখা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজীকে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার এবং সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের ২টি ছাপাখানা থেকে ধানের শীর্ষ প্রতীকের ১৮ হাজার পোস্টার ও ৩ হাজার হ্যান্ডবিল ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের লুট করে নিয়ে যাওয়া এবং ছাপাখানার একজন কর্মচারীকে বেদম প্রহার করার ঘটনার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ফ্যাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। আমি এ ঘটনা দু’টির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

উপরে উল্লেখিত ঘটনা দু’টির দ্বারা আবারও প্রমাণিত হলো যে, দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি। সরকারী দলের সন্ত্রাসী কর্মীরা বিরোধীদলগুলোকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করার হীন উদ্দেশ্যেই প্রশাসনের সহযোগিতায় ফ্যাসিবাদী তান্ডব শুরু করেছে। তাদের এ ধরণের সন্ত্রাসী তান্ডব কঠোর হস্তে দমণ করার জন্য আমি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

অবিলম্বে চাঁদপুর জেলা শাখা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজীসহ সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরে ধানের শীর্ষের পোস্টার ও হ্যান্ডবিল লুটের ঘটনার সাথে জড়িত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ”