৩০ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১:৫৯

ইভিএম ব্যবহার করে আ.লীগের নেতৃত্বাধীন জোটকে বিজয়ী করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশন গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আংশিকভাবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের সুযোগ রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাব গত ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আজ ৩০ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সকল বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও বিশেষজ্ঞগণের মতামত উপেক্ষা করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আংশিকভাবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের সুযোগ রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাব গত ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেয়ায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

সকল মহলের মতামত উপেক্ষা করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহারের পেছনে যে সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। ইভিএম ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটকে বিজয়ী করার জন্য সরকার ও তাদের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

সকল মহলের মতামত উপেক্ষা করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একতরফাভাবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠা থেকেই বুঝা যাচ্ছে যে, ইভিএম ব্যবহারের পেছনে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ছলেবলে-কলে-কৌশলে নির্বাচনে জয়লাভ করাই তাদের উদ্দেশ্য।

বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ পরিত্যাক্ত হয়েছে। বিভিন্ন দেশে ইভিএম এ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব না হওয়ায় তারা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা পরিত্যাগ করেছে। সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ ভারতেও নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে যান্ত্রিক ত্রুটিসহ নানা জটিলতার কারণে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশও অতি সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহারের সময় যান্ত্রিক ত্রুটি লক্ষ্য করা গিয়েছে। কাজেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহারের অপচেষ্টা দূরভিসন্ধিমূলক বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন।

তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহারের যে প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে তা অবিলম্বে বাতিল করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। জোর করে ইভিএম ব্যবহারের অযৌক্তিক ও অন্যায় সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে দেশের জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য হবে।”