২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শনিবার, ৭:১৭

পদ্মার ভাংগনে বহু সংখ্যক স্থাপনা নদীতে বিলীন হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

নদী ভাংগন এলাকায় সাহায্য সামগ্রী না পাঠিয়ে সরকার নদী সিকস্তি অসহায় মানুষের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করছে

শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলা এবং মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পদ্মা নদীর ভাংগনে বহু লোক গৃহহীন ও বহু সংখ্যক স্থাপনা নদীতে বিলীন হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ২২ সেপ্টেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “পদ্মা নদীর ব্যাপক ভাংগনে শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলা এবং মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মানুষের বহু ঘর-বাড়ি ও মূল্যবান স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

পদ্মা নদীর ভাংগনে শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলা এবং মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মানুষের ঘর-বাড়ি ও মূল্যবান স্থাপনা, ফসলী জমি ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বহু ধনী ও সচ্ছল লোক রাতারাতি গৃহহীন হয়ে হত দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই নদী ভেঙ্গে গ্রামের পর গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নড়িয়াতে অনেক সরকারী স্থাপনা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে গিয়েছে। নদীর ভাংগনে ক্ষতিগ্রস্ত লোকেরা অনাহারে-অর্ধাহারে কোন রকমে বেঁচে আছে।

বর্তমান সরকার নদী ভাংগন রোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসছে না। সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে উদাসীনতা ও শৈথিল্য প্রদর্শন করছে। বর্তমান সরকারের দায়িত্বহীনতায় মনে হচ্ছে জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। নদী ভাংগন এলাকায় সাহায্য সামগ্রী না পাঠিয়ে সরকার নদী সিকস্তি অসহায় মানুষের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করছে। আমি সরকারের এহেন অমানবিক আচরণের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।

তাই নদী ভাংগন রোধ এবং নদীর ভাংগনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গৃহ-নির্মাণসহ খাদ্য, বস্ত্র ও নগদ অর্থ সাহায্য পাঠাবার দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। নদী ভাংগনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাহায্য নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াবার লক্ষ্যে আমি সংশ্লিষ্ট এলাকার জামায়াতের নেতা-কর্মী এবং সচ্ছল বিত্তবান লোকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”