৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৮:৪৬

মিথ্যা মামলা দায়ের করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ

গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের আমীরসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার মধ্য দিয়ে সরকারের স্বৈরাচারী চরিত্র নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে

গত ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ জামায়াতের একটি গাড়ি জব্দ করে গাড়ির ড্রাইভার নবী হোসেন ও ২ জন কর্মীকে আটক করেছে এবং গাইবান্ধা জেলা শাখা জামায়াতের আমীর জনাব আবদুর রহিম সরকার ও সেক্রেটারী জনাব মোঃ আবদুল করিমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ৭ সেপ্টেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “পুলিশ রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যেই জামায়াতের ১টি গাড়ি জব্দ করে গাড়ির ড্রাইভার নবী হোসেন ও ২ জন কর্মীকে আটক করেছে এবং গাইবান্ধা জেলা শাখা জামায়াতের আমীর জনাব আবদুর রহিম সরকার ও সেক্রেটারী জনাব মোঃ আবদুল করিমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

গত ৪ সেপ্টেম্বর জামায়াতের ১টি গাড়ি জব্দ করে গাড়ির ড্রাইভার ও ২ জন কর্মীকে সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ অন্যায়ভাবে আটক করেছে। গাইবান্ধা জেলা শাখা জামায়াতের আমীর জনাব আবদুর রহিম সরকার ও সেক্রেটারী জনাব মোঃ আবদুল করিমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারের স্বৈরাচারী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। গাড়ি আটক এবং জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার মত কোন ঘটনাই ঘটেনি। হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই পুলিশ এ মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ সম্পূর্ণ দলীয় কর্মীর মত আচরণ করছে। পুলিশের এহেন আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক। পুলিশের এ ধরনের আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

অবিলম্বে জামায়াতের গাড়ি ছেড়ে দিয়ে ড্রাইভারসহ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের মুক্তি এবং জেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”