২৫ জুলাই ২০১৮, বুধবার, ৯:৫৩

আ’লীগ ভোট ডাকাতি করে পৌরবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি চরম অশ্রদ্ধাপোষণ করেছে

কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে আ’লীগ মনোনিত প্রার্থী কর্তৃক কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি, জাল ভোট প্রদান, এজেন্ট বের করে দেয়ার প্রতিবাদ এবং পুনঃরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলা আমীর মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, সেক্রেটারি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিমুল্লাহ।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেছেন, “কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে আ’লীগ ভোট ডাকাতি করে পৌরবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা পোষণ করেছে। কক্সবাজারে ভোট ডাকাতির সাথে আ’লীগ জড়িত থাকার যে ইতিহাস ছিল তা ২৫ জুলাই পৌর নির্বাচনের মাধ্যমে কক্্সবাজারবাসী নতুন করে অবগত হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকারকে অবমাননা করা যেন আ’লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পরিণত হয়েছে। খুলনা ও গাজীপুরে আ’লীগ ও প্রশাসনের সমন্বয়ে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার যে টিম কাজ করেছিল ঠিক একই টিম কক্সবাজার পৌর নির্বাচনে পূর্ব পরিকল্পনার আলোকে জনমতকে অবজ্ঞা করে নৌকা প্রতীকের জন্য নগ্নভাবে কাজ করেছে। আমরা এধরণের ভোট ডাকাতি, কেন্দ্রদখল, জালভোট প্রদানের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং জনগণের ভোটাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে অবিলম্বে পুনঃরায় নির্বাচনের দাবি করছি। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, সরকারদলীয় প্রার্থী প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রতিটি কেন্দ্রে ৫০০-৮০০ বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছিল। যাতে মানুষ ভয়ে ভোটকেন্দ্রে না যায়। আর আইনশৃংখলা বাহিনী তাদেরকে প্রটেকশন দিয়ে সাধারণ ভোটারদের তাড়িয়ে দিয়ে ভোট ডাকাতি ও জালিয়তির পথ সহজ করে দিয়েছে। এছাড়া বাহারছড়া প্রাইমারি স্কুল, কস্তুরাঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারেরা ভোট দেয়ার জন্য ব্যালট পেপার চেয়েও পায়নি। অধিকাংশ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে আগে থেকেই সীলমারা ব্যালট পেপার ভোটারদেরকে দিয়েছে। আ’লীগের এহেন নির্লজ্জ নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য প্রায় সবকটি কেন্দ্রে খাঁটি আ’লীগার বাছাই করে করে প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ করেছে যাতে ভোট ডাকাতি নির্বিঘ্ন হয়। আর প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষনা পৌরবাসীর প্রতি প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা নির্বাচনের নামে এহেন তামাশার নিন্দা জানাচ্ছি এবং জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার কারণে এই নির্বাচন প্রত্যাখান করে পুনঃরায় নির্বাচন দাবি করছি। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, কক্সবাজারের ইতিহাসে আজকের পৌর নির্বাচন একটি নতুন কালো অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। অতীতে এহেন নির্লজ্জ নির্বাচন কক্সবাজারবাসী সরাসরি প্রত্যক্ষ করেনি। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন এবং আ’লীগ মিলে এহেন প্রহসনমূলক নির্বাচন আয়োজন করেছে যা দেখে পৌরবাসী বিস্ময়ে হতবাক হয়ে পড়েছে। তাই অগণতান্ত্রিক ও জনমতের প্রতি অশ্রদ্ধা পোষণকারী আ’লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করার জন্য কক্্সবাজারবাসীর প্রতি নেতৃদ্বয় আহবান জানান। পাশাপাশি তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার জোর দাবি জানান।”