২৩ জুলাই ২০১৮, সোমবার, ৬:৪৮

পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই পুলিশের জুলুম-নির্যাতন বাড়ছে

রাজশাহী মহানগরী শাখা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জনাব মাইনুল ইসলামকে গতকাল ২২ জুলাই পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আজ ২৩ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “রাজশাহী মহানগরী শাখা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জনাব মাইনুল ইসলামকে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই পুলিশের জুলুম-নির্যাতন বাড়ছে।

রাজশাহী মহানগরীতে জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব নেতাকেই অন্যায়ভাবে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শুধু রাজশাহী নয়, সিলেট ও বরিশালেও অন্যায়ভাবে পুলিশের গ্রেফতার অভিযান চলছে। এ থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে যে, তিনটি সিটি করপোরেশনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক সরকার তা চায় না। গতকাল বরিশালেও জামায়াতের ৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনটি সিটি করপোরেশনের সবগুলোতেই সরকারী প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারী দলের নেতা-কর্মীরা তাদের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য আদা-পানি খেয়ে নেমেছে। তিনটি সিটি করপোরেশনেই এক ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে। জামায়াতসহ বিরোধীদলের কারো পক্ষেই অবাধে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। অপর পক্ষে সরকারী দলের মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় একতরফাভাবে নির্বাচনী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন সব কিছু দেখেও না দেখার ভান করছে। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
তাই অবিলম্বে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবৈধভাবে ব্যবহার করা বন্ধ এবং রাজশাহী ও বরিশালে জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলের গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”