২২ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ৬:৪০

ইনসাফ ভিত্তিক শ্রমনীতি বাস্তবায়নে মরহুম মোহাম্মাদ উল্লাহ’র অসামান্য অবদান নতুন প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে- ডাঃ শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ ইসলামী শ্রমণীতির আন্দোলনের অগ্রসৈনিক ও পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তার মৃত্যুতে ইসলামী শ্রমণীতি আন্দোলনের নেতৃত্বের যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজেই পূরণীয় নয়। মরহুমের চিন্তা-চেতনা,আন্তরিকতার মাধ্যমে ইসলামী শ্রমণীতির আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। ইসলামী শ্রমণীতি প্রতিষ্ঠার জন্য তার অসামান্য অবদান নতুন প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের আয়োজনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিক কল্যাণ  ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ- সাধারণ সম্পাদক মরহুম মোহাম্মদ উল্লাহর স্মরনে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লস্কর মোহাম্মদ তসলিমের পরিচালনায় অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক কবীর আহমেদ, মজিবর রহমান ভূইয়া, আতিকুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মনসুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম, সদ্য কারামুক্ত গাজীপুর মহানগরী সভাপতি মোঃ আজহারুল ইসলাম।  

সভাপতির বক্তব্যে ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, মরহুমের অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মরহুম মোহাম্মাদ উল্লাহ শ্রমিকদের কল্যাণে আমৃত্যু নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। বয়োবৃদ্ধ এই শ্রমিক নেতাকেও অন্যায়ভাবে বার বার কারারুদ্ধ করা হয়েছে।

তার পরেও থেমে থাকেনি শ্রমিকের কল্যানে তার তৎপরতা। তার এই তৎপরতা একটিই স্বপ্ন ছিলো শ্রমিকের উপর সকল প্রকার জুলুম- শোষণের অবসানের লক্ষ্যে বাংলাদেশে ইসলামী শ্রমণীতির সমাজ বিনির্মাণ।

তিনি তার এই অসমাপ্ত কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনঃব্যক্ত করেন এবং সকলকে মরহুম মোহাম্মদ উল্লাহর শেষ ইচ্ছা বাস্তবায়ন করার উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেন, এদেশে ইসলামী শ্রমণীতি সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমেই মরহুম মোহাম্মদ উল্লাহর স্বপ্ন পুরন হবে,ইনশাআল্লাহ।

উল্লেখ্য মোহাম্মদ উল্লাহ গত ১৪ জুলাই সাংগঠনিক কাজ শেষে বাসায় ফিরতে রাত ৯ ঘটিকায় সানার পারে সড়ক দূর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেন।