২০ জুলাই ২০১৮, শুক্রবার, ৪:৪৫

রাজশাহীতে জামায়াত নেতাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক ১মাসের জেল দেয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বোয়ালিয়া থানা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা আবদুল খালেক ও সহকারী সেক্রেটারী জনাব শফিকুল ইসলামকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার এবং ২নং ওয়ার্ডের রাজপাড়া এলাকায় গত ১৭ জুলাই একজন স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ করার সময় ৪জন মহিলাকে বিনা কারনে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে ২৪ ঘন্টা পর ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক তাদের প্রত্যেককে ১মাসের জেল দেয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ২০ জুলাই প্রদত্ত প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বোয়ালিয়া থানা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা আবদুল খালেক ও সহকারী সেক্রেটারী জনাব শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার এবং ২নং ওয়ার্ডের রাজপাড়া এলাকায় গত ১৭ জুলাই একজন স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ চালানোর সময় ৪জন মহিলাকে বিনা কারণে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ২৪ ঘন্টার পর ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক তাদের প্রত্যেককে ১ মাসের জেল দেয়ার ঘটনা অত্যন্ত দু:খজনক। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলতে চাই যে, এ ঘটনার দ্বারাই প্রমাণিত হচ্ছে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই।  

আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি যে, সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের বাড়ীতে বাড়ীতে হানা দিয়ে তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ কারণে তারা কেউই বাড়ীতে থাকতে পারছেন না। শুধু রাজশাহীতে নয়, সিলেট ও বরিশালেও প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগের কর্মীরা একাত্ম হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। অন্যদিকে স্বতন্ত্র ও বিরোধী দলের প্রার্থীদের নির্বাচানী তৎপরতা চালাতে দিচ্ছে না।

রাজশাহীতে গত কয়েকদিন পূর্বে একজন মেয়র প্রার্থী তার কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ চালানোর সময় প্রকাশ্য দিবালোকে দুর্বৃত্তরা তাদের উপর তিনটি ককটেল হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করেছে। অথচ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন পর্যন্ত দুর্বৃত্তদের গেফতার করতে পারেনি। প্রকৃত পক্ষে দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার করার ব্যাপারে সরকারের কোন তৎপরতাই পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সরকারী দলের প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে অবাধে প্রচারণা চালাচ্ছে। অথচ অন্যান্য প্রার্থীদের গনসংযোগে সরকার ও সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। স্বতন্ত্র ও বিরোধী দলের প্রার্থীদের মাঠেই নামতে দেয়া হচ্ছে না। এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে, নির্বাচনে সকলের জন্য সমান সুবিধা-নিশ্চিত করতে সরকার ও সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। তিনটি সিটিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন পরিবেশ দেখা যাচ্ছে না।

তাই অবিলম্বে তিনটি সিটি করপোরেশনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি এবং রাজশাহীতে গ্রেফতারকৃত জামায়াত নেতৃবৃন্দ ও এক মাসের কারাদন্ড দেয়া মহিলাদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”