৭ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ৮:১৩

জামায়াতে ইসলামী ও নেতৃবৃন্দ নিয়ে অসত্য তথ্য প্রকাশে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

আমাদের সময় পত্রিকা ও আমাদের সময় ডট কম -এ জামায়াত সম্পর্কে যে সব কথা লেখা হয়েছে তার মধ্যে সত্যের লেশ মাত্রও নেই

গতকাল ৬ জুলাই প্রকাশিত দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় এবং আজ ৭ জুলাই আমাদের সময় ডট কম অনলাইনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যে সব ভিত্তিহীন অসত্য তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আজ ৭ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গতকাল ৬ জুলাই প্রকাশিত দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় এবং আজ ৭ জুলাই আমাদের সময় ডট কম অনলাইনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যে সব ভিত্তিহীন অসত্য তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ঐ পত্রিকা দুটির প্রতিবেদনে জামায়াত সম্পর্কে যে সব কথা লেখা হয়েছে তার মধ্যে সত্যের লেশ মাত্রও নেই।

ঐ পত্রিকা দুটির প্রতিবেদনে ‘জামায়াত বিএনপির সাথে ইচ্ছাকৃত দূরত্ব বাড়াবে। জামায়াত জোট থেকে বেরিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার হুমকিও দিতে পারে’ মর্মে যে সব কথা লেখা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। ২০ দলীয় জোটের মধ্যে ভাঙ্গন ধরানোর অশুভ পরিকল্পনা মোতাবেকই আমাদের সময়ের রিপোর্টে এ সব কাল্পনিক তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। ২০ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধ থাকুক-- তা যারা চায় না, তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার হীন উদ্দেশ্যেই ঐ পত্রিকা দুটির প্রতিবেদনে জামায়াত সম্পর্কে আপত্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে।

ঐ পত্রিকা দুটিতে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সরকারের কোন পর্যায়ের যোগাযোগ রয়েছে এবং তার গতিবিধি সন্দেহজনক’ মর্মে যে সব কথা লেখা হয়েছে তা একেবারে নির্জলা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। আমাদের সময়ের প্রতিবেদনের এ সব মন্তব্য সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের নিজস্ব কল্পনাপ্রসূত। বাস্তবের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। ডা. শফিকুর রহমানের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করার হীন উদ্দেশ্যেই এ ধরনের মিথ্যাচার করা হয়েছে।

ঐ প্রতিবেদন ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল শহীদ আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ২০০৮ সালের নির্বাচনে আসন বন্টনের সময় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছিলেন’ মর্মে যে সব কথা লেখা হয়েছে তা একেবারেই হাস্যকর। তার চরিত্র হননের উদ্দেশ্যেই তার সম্পর্কে এ ধরনের অবাস্তব তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। বর্তমান সরকার তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। তার পক্ষে এখন অপপ্রচারের জবাব দেয়া সম্ভব নয় বলেই তার সম্পর্কে এ রিপোর্ট দুটিতে মিথ্যাচার করা হয়েছে। এটা সৎ সাংবাদিকতার নীতিমালার পরিপন্থী। বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি করে ২০ দলীয় জোটের ঐক্যে ফাটল ধরানোরা লক্ষ্যেই একটি বিশেষ মহল অব্যাহতভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস তাদের এসব অপপ্রচার অচিরেই মিথ্যা প্রমাণিত হবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং এর নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে অপপ্রচার চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমি আমাদের সময় পত্রিকা কর্তৃপক্ষ এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল আমাদের সময় ডট কমের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং আশা করছি তারা অত্র প্রতিবাদটি যথাস্থানে ছেপে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।”