১২ জুন ২০১৮, মঙ্গলবার, ৪:৩৭

আমীরে জামায়াত মকবুল আহমাদসহ সকল নেতা-কর্মীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পূর্বে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদসহ সকল শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের আটক সকল নেতা-কর্মীদের আসন্ন ঈদুল ফিতরের পূর্বেই মুক্তি প্রদান করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আ. ন. ম. শামসুল ইসলাম আজ ১২ জুন নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-

“বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদকে ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর সরকার গ্রেফতার করে অন্যায়ভাবে অদ্যাবধি কারাগারে বন্দী রেখেছে। বর্তমানে তার বয়স প্রায় ৭৯ বছর। তিনি ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন। সরকার তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা অভিযোগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাস্সিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুস সুবহান, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামসহ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ কারাগারে আটক রেখেছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের পুত্র সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য শহীদ মীর কাসেম আলীর পুত্র বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমানকে ২০১৬ সালের আগষ্ট মাসে রাতের অন্ধকারে নিজ নিজ বাসা থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে আটক করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের পরিবার-পরিজন জানতে পারেনি তারা কোথায় কী অবস্থায় আছে। সরকারের কাছে বহু আবেদন-নিবেদন করা সত্ত্বেও সরকার তাদের কোন সন্ধান না দিয়ে রহস্যজনকভাবে নিরবতা পালন করে যাচ্ছে। অথচ তাদের পরিবার-পরিজন গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে জীবন-যাপন করছেন। তাদের প্রতীক্ষায় তাদের পরিবার-পরিজন এখনো অপেক্ষা করছেন। সরকারের এ ধরনের রহস্যজনক আচরণ সম্পূর্ণ অমানবিক। ঈদুল ফিতরের পূর্বেই তাদের ফিরিয়ে দিয়ে পরিবার-পরিজনদের সাথে ঈদুল ফিতর পালন করার সুযোগ দেয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

এছাড়াও জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ ২০ দলীয় জোটের বহু নেতাকর্মীকে সরকার অন্যায়ভাবে বন্দী করে রেখে কষ্ট দিচ্ছে। পবিত্র এ রমজান মাসেও জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ ২০ দলীয় জোটের শত শত নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের আত্মীয়-স্বজন, পরিবার-পরিজন গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে বসবাস করছেন।
জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদসহ সকল শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির এবং ২০ দলীয় জোটের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মী যাতে তাদের পরিবার-পরিজনদের সাথে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারেন সেজন্য মানবিক কারণে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পূর্বেই তাদের সবাইকে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”