১০ মার্চ ২০১৮, শনিবার, ৫:৪০

সরকারের জুলুম-নির্যাতনের পরিণতি কখনো শুভ হবে না

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের উপর সরকারের বর্বর জুলুম-নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের উপর সরকারের বর্বর জুলুম-নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ১০ মার্চ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার জামায়াত ও বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে বাধা দিয়ে নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে, অত্যাচার ও নির্যাতনের স্টীম রোলার চালিয়ে এ দেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। সরকারের এ জুলুম-নির্যাতনের পরিণতি কখনো শুভ হবে না।

শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সভা-সমাবেশ করা এ দেশের জনগণের সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার। কিন্তু সরকার ২০ দলীয় জোটকে সে অধিকার ভোগ করতে না দিয়ে চরম ফ্যাসিবাদী আচরণ করছে। ২০ দলীয় জোট নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার পর থেকেই তার মুক্তির দাবিতে বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকার বিএনপিকে কোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিই পালন করতে দিচ্ছে না। বিনা উস্কানীতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করছে। গত ৮ মার্চ বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি থেকে একজন ছাত্র নেতাকে মারতে মারতে বিবস্ত্র করে পুলিশ অস্ত্র উঁচিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে। এ ঘটনার পূর্বেও বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ সাদা পোশাকে অস্ত্র উঁচিয়ে নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করেছে এবং গ্রেফতার করেছে। শুধু তাই নয়, ৭ মার্চ পুলিশের প্রহরায় আওয়ামী লীগের ৪টি মিছিলে মহিলাদের শ্লীলতা হানির ঘটনা ঘটেছে, যার খবর জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। এসব অঘটন গোটা জাতির জন্য লজ্জাকর ও উদ্বেগজনক।

সরকারী ক্ষমতা ও অর্থের অপব্যবহার এবং অপচয় করে সরকার সারা দেশে জনসভা করে নৌকায় ভোট চাচ্ছে। অন্যদিকে ২০ দলীয় জোটকে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি না দিয়ে তাদের উপর অত্যাচার-জুলুম করছে। আজ ১০ মার্চ খুলনায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিএনপির জনসভা বানচাল করে দিয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কোথাও জামায়াত-বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটকে সভা-সমাবেশ করতে না দিয়ে সরকার কার্যত: ষড়যন্ত্রমূলক এক তরফা প্রহসনের নির্বাচনের নাটক করার মহড়া দিচ্ছে। সরকারের এ ধরনের ষড়যন্ত্র দেশকে গভীর রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে ফেলে দিবে।

দেশের জনগণের উপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে যেমন কোন সরকার গায়ের জোরে টিকে থাকতে পারেনি, তেমনি বর্তমান সরকারও পারবে না। আল্লাহ তায়ালার বিচার থেকে দুনিয়ায় যেমন কেউ রেহাই পাবে না, আখিরাতেও রেহাই পাবে না, ইনশাআল্লাহ। কিন্তু জালেমরা কখনো আল্লাহর কথা শোনে না।

তাই ফ্যাসিবাদ কায়েমের ষড়যন্ত্র বন্ধ করে ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ সহ ২০ দলীয় জোটের সকল নেতা-কর্মীকে নি:শর্তভাবে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ কেয়ার টেকার সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”