৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার, ৭:৫৪

সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তির জোরে জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সকল প্রকার মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জারিকৃত সরকারী আদেশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

৮ ফেব্রুয়ারী ভোর ৪টা থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সকল প্রকার মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জারিকৃত সরকারী আদেশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “এ আদেশের মাধ্যমে সরকার সংবিধান লংঘন করেছে ও জনগণের মৌলিক অধিকারের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে।”

ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৬, ৩৭ ও ৩৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের অবাধ চলাফেরা, মিছিল ও সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। সরকার ৮ ফেব্রুয়ারী থেকে মিছিল সমাবেশের উপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা সুস্পষ্টভাবে সংবিধানের লংঘন। এ সরকার জনগণের অধিকারে বিশ্বাস করে না বলেই এ নিষেধাজ্ঞা। সরকারের এ আদেশ দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েমের একটি নিকৃষ্ট নমুনা। এ সরকার গণবিচ্ছিন্ন বলেই জনগণের সভা-সমাবেশকে ভয় পায়। সরকার মনে করেছে, রাষ্ট্রীয় শক্তির জোরে জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে। এটা তাদের ভুল ধারণা। পৃথিবীর কোন স্বৈরশাসকই জনগণকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জালেম শাসকদেরকে আল্লাহ তায়ালা সুযোগ দেন। সীমা লংঘনের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হলে আল্লাহ তায়ালা তার ফায়সালা দান করেন। বর্তমান সরকারের আচরণে মনে হচ্ছে তারা ধাপে ধাপে আল্লাহর চূড়ান্ত ফায়সালার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।

সামনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বর্তমান সরকার নির্বাচনে তাদের নিশ্চিত ভরাডুবি বুঝতে পেরে দেশের জনগণ যাতে নির্বাচনে তাদের রায় দিতে না পারে, সেজন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। সরকার চায় এমন পরিবেশ তৈরি করতে যাতে বিরোধী দল নির্বাচন থেকে দূরে সরে থাকতে বাধ্য হয়। সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে আবারও ৫ জানুয়ারীর মত ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করা। কিন্তু দেশের জনগণ সরকারের এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দিবে না। বিরোধী দলকে সভা-সমাবেশ, মিছিল করার সুযোগ না দিয়ে সরকার নিজেই তার পতনের পথ প্রশস্ত করছে।

আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনগণের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে মিছিল-সমাবেশের উপর থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির ব্যবস্থা করে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিবেন।”