৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার, ৪:১০

কালো আইন দিয়ে জাতির ঘাড়ে জোর করে চেপে থাকার অপচেষ্টার পরিণতি কখনো শুভ হয় না

মন্ত্রীসভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ

গত ২৯ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রী সভার বৈঠকে ৩২ ধারা হিসেবে পরিচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে খসড়াটি অনুমোদন করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ৪ ফেব্রুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “৩২ধারা হিসেবে পরিচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে খসড়াটি মন্ত্রীসভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে তা দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার হরনের এক জঘন্য ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।

প্রস্তাবিত আইনের খসড়াটিতে মূলত: নতুন করে ৫৭ ধারাকেই কায়দা-কৌশল করে পুনঃস্থাপনের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। ৫৭ ধারার চাইতেও ৩২ ধারার খসড়াটি আরো বেশী ভয়ঙ্কর। কালাকানুন চাপিয়ে দিয়ে শক্তির জোরে বেশী দিন টিকে থাকা যায় না। এভাবে কালো আইন দিয়ে জাতির ঘাড়ে জোর করে চেপে থাকার অপচেষ্টার পরিণতি কখনো শুভ হয় না।

সরকার জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া একদলীয় স্বৈরশাসন দীর্ঘায়িত করার অসৎ উদ্দেশ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে নতুন কালাকানুন পাশ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের সকল রাজনেতিক দল, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক সমাজ এ আইনের খসড়ার প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও সরকার সেদিকে মোটেই কর্ণপাত করছে না। সাংবাদিক সমাজের কলম বন্ধ করার জন্য সরকার নতুন কলাকানুন প্রণয়নের চক্রান্ত করছে। এ থেকে জাতির সামনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না। নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় থাকার হীন উদ্দেশ্যেই সরকার মানুষের বাক-স্বাধীনতা ও লেখার স্বাধীনতা হরণের ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের এ জঘন্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো দেশবাসী সকলের কর্তব্য।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামক জঘন্য কালা-কানুন প্রণয়ন করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানচ্ছি।”