আগামী ৫ জানুয়ারী ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ২ জানুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে নির্বাচনের প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করে গণতন্ত্র হত্যা করেছে। এ দিনটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্যকে বিনা ভোটে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিল, সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে যার কোন নজির নেই। ৪৭টি ভোটকেন্দ্রে একজন লোকও ভোট দিতে যায়নি। সেই নির্বাচনের প্রহসন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দেশে উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ও জেলা পরিষদ নির্বাচন পর্যন্ত প্রায় সকল নির্বাচনই ছিল ষড়যন্ত্রমূলক প্রহসনের নাটক। এ সব নির্বাচন থেকেই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে যে, বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর প্রহসনের নির্বাচনের সময় সরকার বলেছিল যে, ‘এ নির্বাচন শুধুমাত্র সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচন। পরবর্তী সময় সকল দলের অংশগ্রহণে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।’ কিন্তু সরকার সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। বরং নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে বর্তমান সরকার ও সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে দেশের জনগণ অতিষ্ঠ। এ অবস্থা থেকে জাতিকে উদ্ধারের জন্য নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। তাই জাতিকে এ দুঃসহ অবস্থা থেকে উদ্ধারের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমি আগামী ৫ জানুয়ারী শুক্রবার ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করছি এবং ঘোষিত এ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখা ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”