১০ ডিসেম্বর ২০১৭, রবিবার, ৫:২৩

প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষপূর্ণ ও অশালিন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ

প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলকে অশালিন ও কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করে প্রমাণ করলেন যে, তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চান না

গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে গণভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে আসবে বিএনপি” মর্মে যে কটাক্ষপূর্ণ ও অশালিন বক্তব্য প্রদান করেছেন তার প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ১০ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে আসবে বিএনপি’ মর্মে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা কোন গণতন্ত্রের ভাষা হতে পারে না। তার এ বক্তব্যে দেশবাসী বিস্মিত হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে এ ধরনের কটাক্ষপূর্ণ, অগণতান্ত্রিক, অশালিন ও অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেশবাসী আশা করে না।

বর্তমানে দেশে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে তা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ একটি নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ ধরনের নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রধানতম দায়িত্ব বর্তমান সরকারের। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে প্রধান বিরোধী দলকে লক্ষ্য করে প্রধানমন্ত্রী অশালিন ও কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করে প্রমাণ করলেন যে, তারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চান না। তারা ২০ দলীয় জোটকে নির্বাচনের বাইরে রেখে পুনরায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনের নাটক করতে চান। তাদের এ ধরনের নির্বাচনের প্রয়াস দেশবাসী মেনে নিবে না। ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের অপচেষ্টা চালানো হলে দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করবে। প্রহসনের নির্বাচনের অপপ্রয়াস চালানো হলে তার পরিণতি কারো জন্যই শুভ হবে না।

তাই একটি নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির স্বার্থেই এ ধরনের কটাক্ষপূর্ণ, উস্কানীমূলক ও অশালিন বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”