২৫ অক্টোবর ২০১৭, বুধবার, ৭:১৯

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি কালো দিবস

যথাযোগ্য মর্যাদায় আগামী ২৮ অক্টোবর আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিলের মাধ্যমে পালন করার জন্য জামায়াতের সকল শাখা সংগঠনের প্রতি আহ্বান

আগামী ২৮ অক্টোবর আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজনের মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখা সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ২৫ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি কালো দিবস। সেইদিন জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের যে সব নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে শাহাদাত বরণ করেছেন আমরা তাদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে জামায়াতে ইসলামী শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করে। এ সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা লগি-বৈঠা, লাঠি, লোহার রড ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ বোমা নিয়ে হিংস্র হায়েনার মত ঝাঁপিয়ে পড়ে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। শুধু তাই নয়, ঐ সব হায়েনারা লাশের উপর পৈশাচিকভাবে উল্লাস নৃত্য করে। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবীতে জামায়াতের পক্ষ থেকে মামলা করা হলেও বর্তমান জুলুমবাজ সরকার সেই মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নেয়। এ ঘটনার দ্বারা আওয়ামী লীগ সরকার খুনীদেরকে রক্ষা করে এবং খুন, হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের লাইসেন্স দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় দেশে বর্তমানে খুন, হত্যা, সন্ত্রাস, গুম ইত্যাদি মানবতাবিরোধী অপরাধ অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে।

২৮ অক্টোবরের শহীদদের রক্তের উপর দিয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে দেশ থেকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা, জনগণের ভোটাধিকার, মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করে দেশে একদলীয় শাসন চালু করার ষড়যন্ত্র করছে। সরকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার পরিবর্তে একে একে সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেয়ার চক্রান্ত করছে। সরকারের সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

২৮ অক্টোবরের শহীদগণ এ দেশে একটি ইনসাফপূর্ণ কল্যাণ রাষ্ট্র কায়েমের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকারের মাধ্যমে আগামী ২৮ অক্টোবর আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করে যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৮ অক্টোবর পালন করার জন্য আমি জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।”