২০ অক্টোবর ২০১৭, শুক্রবার, ৭:২৫

ধর্মভীরু পর্দানশীন ও চরিত্রবান ছাত্রীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ

বিনা কারণে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার নেত্রীস্থানীয় কর্মীগণকে গ্রেফতার করে সরকার ছাত্রীদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করেছে

গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগরীর কদমতলী থানার ধনিয়ার নূরপুর থেকে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ২১ জন নেত্রীস্থানীয় কর্মীকে ও চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলা থেকে গত ১৯ অক্টোবর ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ২ জন কর্মীকে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আজ ২০ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ঢাকা মহানগরীর কদমতলী থানার ধনিয়ার নূরপুর থেকে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ২১ জন নেতৃস্থানীয় কর্মীকে ও চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলা থেকে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ২ জন কর্মীকে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সরকারের ইসলামী বিরোধী ফ্যাসিবাদী চরিত্র অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

ইসলামী ছাত্রী সংস্থার কর্মীরা ছাত্রীদের মধ্যে ইসলামের দাওয়াত প্রদান করে। তারা ছাত্রীদের ইসলামের জ্ঞান অর্জন করে তার আলোকে চরিত্র গঠনে তাদের উদ্বুদ্ধ করে। বিনা কারণে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার নেত্রীস্থানীয় কর্মীগণকে গ্রেফতার করে সরকার ছাত্রীদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করেছে। শুধু তাই নয়, ধনিয়া থেকে গ্রেফতারকৃত ২১ জন নেত্রীস্থানীয় কর্মীকে ১ দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাদের কষ্ট দিয়ে পুলিশ মানবাধিকার লংঘন করেছে। ইসলামী দাওয়াতী কাজ করার কারণে তাদেরকে গ্রেফতার করে সরকার প্রমাণ করেছে যে, ইসলামী দাওয়াতী কাজ চলুক, এটা তারা চায় না। সরকার ইসলামী ছাত্রী সংস্থার দাওয়াতী কাজে বাধা দিয়ে দেশের ছাত্রী সমাজকে অনৈতিকতা ও জাহিলিয়াতের অন্ধকারে ঠেলে দিতে চায়। 

ধর্মভীরু পর্দানশীন ও চরিত্রবান ছাত্রীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার এবং হয়রানীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

ঢাকা মহানগরীর ধনিয়া ও চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলা থেকে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার গ্রেফতারকৃত সকল ছাত্রীকে অবিলম্বে নি:শর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”