১৬ অক্টোবর ২০১৭, সোমবার, ৭:০৪

বিচার বিভাগের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

সরকার বিচার বিভাগের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার যে হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা দেশ এবং জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দিবে

বিচার বিভাগের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম আজ ১৬ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার বিচার বিভাগের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার যে হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা দেশ এবং জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দিবে।

সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে প্রধান বিচারপতিকে কেন্দ্র করে যে সব নাটকের আয়োজন করেছে তা বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে নজিরবিহীন। সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হল প্রধান বিচারপতি অসুস্থ। এ জন্য তিনি ছুটি চেয়েছেন। প্রধান বিচারপতি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পূর্বে যে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তিনি বলেছেন, ‘আমি অসুস্থ নই, আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি, ‘আমি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে একটু শংকিতও বটে এবং প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের আমার ব্যক্তিগত সমালোচনায় আমি সত্যিই বিব্রত।’

প্রধান বিচারপতি দেশ ত্যাগ করার পর সরকারের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত ১১টি অভিযোগের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়। সংগত কারণেই জনগণের মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে যে, অর্থ আত্মসাৎ, বিদেশে অর্থ পাচারসহ নানা অপরাধ, দুর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিকে কেন বিদেশ যেতে দেয়া হল?

প্রধান বিচারপতির দেশ ত্যাগের পর আইন মন্ত্রী ও এটর্নী জেনারেল যে সব বক্তব্য দিয়েছেন তাতে সরকারের পক্ষ থেকে এ কথারই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে, তারা প্রধান বিচারপতিকে আর দায়িত্ব পালন করতে দিতে ইচ্ছুক নয়। ষোড়শ সংশোধনীর রায়কে কেন্দ্র করে সরকার সর্বোচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে যে প্রকাশ্য বক্তব্য রেখেছে তাতে প্রতীয়মান হয়, নিজেদের পছন্দ মত রায় না দিলে প্রধান বিচারপতির মত গুরুত্বপূর্ণ আসনে কিছুতেই অধিষ্ঠিত থাকা সম্ভব নয়। সর্বোচ্চ আদালত তথা বিচার বিভাগ নিয়ে সরকার যে ষড়যন্ত্র করছে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

সরকারের এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”