৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, শনিবার, ৪:৪৮

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম বুলবুলসহ ৮ নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি লস্কর মো. তসলিম বলেছেন, সরকার দেশকে একদলীয় বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য নূরুল ইসলাম বুলবুল সহ ৮ নেতাকে গ্রেফতার করেছে। তারা নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই বিরোধী দলগুলোর ওপর জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোন স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী শক্তির শেষ রক্ষা হয়নি, আর আওয়ামী লীগেরও হবে না। তিনি নূরুল ইসলাম বুলবুল সহ ৮ নেতার গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় সরকারকে গণরোষের মুখেমুখি হতে হবে।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপষিদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলামী ভূঁইয়া, সেক্রেটারি ড. মুহা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য আব্দুস সবুর ফকির সহ ৮ নেতাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।

আজ শনিবার রাজধানীর মিরপুর-১০ নং গোলচত্তর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বেনারশী পল্লীর ১নং গেইটে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারি সেক্রেটারি মো. মাহফুজুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিশে শুরা সদস্য আব্দুল্লাহ জোবায়ের, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, আব্দুল্লাহ মু’য়াজ, নাসির উদ্দীন, আশরাফুল আলম, আলাউদ্দীন, আব্দুস সাকী ও আবুল হাসান, জামায়াত নেতা আব্দুল মতিন খান, সাইফুল কাদের, আবু হানিফ, আবুল ফারিশ, টুটুল, শাহ আলম তুহিন, আব্দুল হান্নান, আব্দুল আউয়াল আযম, আবু রাইয়ান, ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি আহমদ জামিল ও পশ্চিমের সেক্রেটারি আব্দুল আলীম প্রমূখ।

লস্কর তসলিম বলেন, সরকার বিরোধী দল দমনের জন্য বিরাজনীতিকরণের পথ বেছে নিয়েছে। তারা ইতোমধ্যেই দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করে জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। রাজনৈতিক দল ও সকল নাগরিকের রাজপথে রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন সাংবিধানিক অধিকার হলে সরকার বিরোধী দল ও জনগণকে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এমনকি বিরোধী দলের ঘরোয়া বৈঠকগুলোকে গোপন বৈঠক আখ্যা দিয়ে নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে রিমান্ডের নামে নির্মম ও নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। বছরের পর পর নেতাকর্মীদের কারাগারে আটক রেখে রাজপথকে রাজনৈতিক প্রতিযোগি মুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি না পেলেও লাফিলে লাফিয়ে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্য বারবার বৃদ্ধি করা হচ্ছে। মোটা চালের মূল্যও এখন সাধারণ মানুষের একেবারে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। সরকার বিরোধী দল দমনের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই গুম, খুন ও গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব সরকারের হলেও সরকারই পরিকল্পিতভাবে জননিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।

তারা অপশাসন-দুঃশাসন ও জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায়। কিন্তু সরকারের সে ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না বরং জনগণ যেকোন মূল্যে সরকারের দেশ ও জাতিস্বত্ত্বা বিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দেবে।