১০ আগস্ট ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ২:৪১

সরকার ও সরকারী দলের নেতারা সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

আইন হাতে তুলে নেবার নির্দেশ দিয়ে ছাত্রলীগ নেতারাই প্রমাণ করেছে তারাই মূলতঃ ফ্যাসীবাদী জঙ্গী সংগঠন

গত ৮ আগস্ট মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টা থেকে রাত ৪টা পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী আবাসিক হলে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীসহ ১৩ জন ছাত্রের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলা বেধড়ক মার-ধরের পর তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়া এবং গত ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের অফিসে দেশী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৫০/৬০ জনের একটি দুর্বৃত্ত দলের ব্যাপক হামলা এবং লুটপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর এবং সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ১০ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সম্প্রতি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস.এম. জাকির হোসাইনের ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে আইন হাতে তুলে নেয়ার নির্দেশ প্রদান করার কারণেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীসহ ১৩ জন ছাত্রের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে মারধর করে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এবং কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের অফিসে হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসী দুর্বৃত্তরা ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। সরকারী দলের নেতাদের উস্কানীতেই এসব ঘটনা ঘটেছে।

সরকার ও সরকারী দলের নেতারা সারা দেশে এক সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা সারা দেশেই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সহযোগীতা করছে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের খুনী সন্ত্রাসীরা পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। ফলে দেশে অবাধে সন্ত্রাসী তান্ডব চলছে।

আইন হাতে তুলে নেবার নির্দেশ দিয়ে ছাত্রলীগ নেতারাই প্রমাণ করেছে যে, তারাই মূলতঃ ফ্যাসীবাদী জঙ্গী সংগঠন। তাদের পিতৃ সংগঠন আওয়ামী লীগের কাছে সংবিধান, আইন ও নায়বিচারের কোনই মর্যাদা বা মূল্য নেই।

সরকার ও সরকারী দলের নেতা-কর্মীদের নানা অপকর্মে এবং সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত মাননীয় সুপ্রীম কোর্টের রায়ে সরকার নাজেহাল হয়ে পড়েছে। তাই মাত্রা জ্ঞান হারিয়ে সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। তাদের সাথে হাত মেলাচ্ছে সরকারের পুলিশ বাহিনী।

সিলেটের একটি কলেজ ও হাসপাতাল থেকে লুন্ঠিত সিসি টিভি উদ্ধার করে তা পরীক্ষা করলেই ছাত্রলীগের নেতাদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের পরিচয় স্পষ্ট হয়ে যাবে। তা না করে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে কোন লাভ হবে না। সুপ্রীম কোর্টের রায়ে বর্তমান সরকার আইনগত ও নৈতিক বৈধতা হারিয়েছে। সরকার ও সরকারী দলের সন্ত্রাসীদের নানা অপকর্ম তাদেরকে কার্যত: দেশের জনগণের বিরুদ্ধে মুখোমুখী দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে অতীতে কোন সরকারই টিকে থাকতে পারেনি। বর্তমান জুলুমবাজ সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।

তাই অন্যায়, অপকর্ম ও জুলুমের পথ পরিহার করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে সম্মানের সাথে বিদায় নেয়াই বর্তমান সরকারের নিকট সময়ের দাবী।”