৫ আগস্ট ২০১৭, শনিবার, ২:১১

হজ্জ্ব ফ্লাইটে সিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

হজ্জ্ব ব্যবস্থাপনায় নানা অনিয়ম ও ত্রুটি, বিচ্যুতির জন্য সরকারই দায়ী বলে দেশবাসী মনে করে

পবিত্র হজ্জ্ব ব্যবস্থাপনায় নানা অনিয়ম, ত্রুটি, বিচ্যুতি, হজ্জ্বযাত্রীদের হয়রানী ও হজ্জ্ব ফ্লাইটে সিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ৫ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “পবিত্র হজ্জ্ব ব্যবস্থাপনায় নানা ধরনের অনিয়ম, ত্রুটি, বিচ্যুতি, হজ্জ্বযাত্রীদের হয়রানী ও হজ্জ্ব ফ্লাইটে সিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনায় পবিত্র হজ্জ্ব যাত্রীগণের সাথে আমরাও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। হজ্জ্ব যাত্রীগণ আল্লাহর মেহমান। তাদের নিয়ে নানা টালবাহানা, হয়রানী ও অব্যবস্থাপনা এবং হজ্জ্ব ফ্লাইটে সিডিউল বিপর্যয়সহ নানা ত্রুটি, বিচ্যুতির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। 

হজ্জ্ব যাত্রীগণের ভিসা প্রাপ্তি নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৭০ হাজার ৮২ জন হজ্জ্বযাত্রীর ভিসার জন্য লজমেন্ট কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাস ৩ আগস্ট পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৮ শত ৭৯ জন হজ্জ্ব যাত্রীকে ভিসা ইস্যু করেছে। বাকীরা এখনো ভিসা না পেয়ে গভীরভাবে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন। হজ্জ্ব যাত্রীগণের হজ্জ্ব ফ্লাইটে সিডিউল বিপর্যয় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আজ ৫ আগস্ট শনিবারও দু’টি হজ্জ্ব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এ পর্যন্ত বিমানের ১৬টি ও সৌদিয়ার ৩টিসহ মোট ১৯টি হজ্জ্ব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। পবিত্র হজ্জ্ব ব্যবস্থাপনা নিয়ে এ ধরনের অব্যবস্থা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।

হজ্জ্ব ব্যবস্থাপনায় নানা অনিয়ম ও ত্রুটি, বিচ্যুতির জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় হজ্জ্ব এজেন্সীগুলোকে দায়ী করে বক্তব্য প্রদান করলেও হজ্জ্ব এজেন্সীগুলো ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঐ বক্তব্য প্রত্যাখান করে বলেছে যে, ধর্ম মন্ত্রণালয় সঠিক বক্তব্য প্রদান করেনি। হজ্জ্ব ব্যবস্থাপনা নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য প্রদান দেশবাসীর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। দেশবাসী মনে করে এ অবস্থার জন্য সরকারই দায়ী।

কাজেই টালবাহানা বন্ধ করে হজ্জ্ব যাত্রীগণ যাতে সহীহ সালামতে যথাসময়ে হজ্জ্ব পালন করতে যেতে পারেন এবং হজ্জ্ব সম্পন্ন করে যথাসময়ে দেশে ফিরতে পারেন তার সুব্যবস্থা করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”