৩ জুলাই ২০১৭, সোমবার, ২:১২

দেশের কয়েকটি জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

বন্যাদুর্গতদের জন্য অতি দ্রুত পর্যাপ্ত সাহায্য পাঠাতে সরকারের প্রতি আহ্বান

দেশের কয়েকটি জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বন্যাদুর্গতদের জন্য সাহায্য সামগ্রী নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ৩ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বন্যাদুর্গত জেলাগুলিতে মানুষ অতি কষ্টে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তাদের জন্য অতি দ্রুত সাহায্য পাঠানো প্রয়োজন।

ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও অতি বৃষ্টির কারণেই কুশিয়ারা এবং তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাংলাদেশের সিলেট, মৌলভীবাজার, রংপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা দুর্গত সিলেট ও মৌলভীবাজারে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ৩০০টি স্কুলের পাশাপাশি শতশত মাদ্রাসায় ও পাঠদান কর্মসূচী বন্ধ রেখেছে। সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, ওসমানিনগর, গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণসুরমাসহ মোট ৬টি উপজেলা বন্যাকবলিত।

তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রংপুর জেলার গংগাচড়া, নীলফামারী জেলার জলঢাকা ও লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের অনেকেরই বাড়ী-ঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তারা আশ্রায় কেন্দ্রে ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। অনেকেই পানিবাহিত নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। বন্যা দুর্গত এলাকায় খাদ্য, পানীয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও চিকিৎসা এবং ঔষধের প্রচন্ড অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় সরকারী সাহায্য নিতান্তই অপ্রতুল। মানুষ সাহায্যের জন্য হাহাকার করছে।

বন্যাদুর্গত জেলাগুলোতে জরুরী ভিত্তিতে খাদ্য, পানীয়, বস্ত্র ও ঔষধসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং চিকিৎসক দল পাঠানোর জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে সাহায্য নিয়ে বন্যাদুর্গত লোকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি দানশীল স্বচ্ছল ব্যক্তি, বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা এবং বিশেষ কওে বন্যাদুর্গত অঞ্চলের জামায়াতের নেতা-কর্মী ও সমর্থক গণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”