২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য চার লক্ষ দুই শত ছেষট্টি কোটি টাকার যে প্রস্তাবিত বাজেট আজ ১ জুন অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদে পেশ করেছেন সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ০১ জুন ২০১৭ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য চার লক্ষ দুই শত ছেষট্টি কোটি টাকার যে বাজেট আজ ১ জুন অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদে পেশ করেছেন তা অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী ও গণ বিরোধী। প্রস্তাবিত এ বাজেটকে কোন ক্রমেই সুষম ও গণমুখি বাজেট বলা যায় না। প্রস্তাবিত বাজেট ব্যাংক ঋণ নির্ভর ও বিদেশী সাহায্য নির্ভর ঘাটতি বাজেট।
প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, কৃষক-শ্রমিক, সরকারী ও বেসরকারী চাকুরীজীবী এবং সাধারণ মানুষের মতামত উপেক্ষা করে একগুঁয়েমির আশ্রয় নিয়ে শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫% ভ্যাট আরোপ করে কার্যত: দেশের শতকরা আশি ভাগ লোকের স্বার্থে আঘাত করা হয়েছে। কৃষক-শ্রমিকসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পেটে লাথি মারা হয়েছে। শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট আরোপ করে দরিদ্র জনগণকে নিষ্ঠুরভাবে শোষণ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মত একটি দরিদ্র দেশে কোনভাবেই শতকরা ৮ ভাগের বেশি ভ্যাট আরোপ করা উচিত ছিল না। সরকারী দলের মুষ্টিমেয় কিছু সংখ্যক লোক ছাড়া কেউই শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট আরোপ সমর্থন করে না।
প্রস্তাবিত বাজেটে আয়কর মুক্ত আয়ের সীমা দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরও আয়কর মুক্ত আয়ের সীমা এটাই ছিল। প্রস্তাবিত বাজেটে আয়কর মুক্ত আয়ের সীমা দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নির্ধারণ করে প্রকৃত পক্ষে দরিদ্র জনগণকেও আয়করের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আয়কর মুক্ত আয়ের সীমা আরও বৃদ্ধি করা উচিত ছিল।
প্রস্তাবিত বাজেটে যে সমস্ত জনস্বার্থ বিরোধী বিষয় রয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার করে জনগণের স্বার্থ রক্ষা করে প্রস্তাবিত বাজেটকে গণমুখি বাজেটে পরিণত করার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”