১ মে ২০১৭, সোমবার, ৬:৪০

৩৭ জন মহিলাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

পবিত্র কুরআন শিক্ষার মহৎ কাজে বাধা দিয়ে পুলিশ চরম অন্যায় কাজ করেছে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নড়াইল জেলা শাখার মহিলা বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপিকা হোসনে আরা জেসমিন ও জেলা মহিলা বিভাগের কর্মপরিষদ সদস্যা হোসনে আরা খাতুনসহ ৩৭ জন মহিলাকে পবিত্র কুরআন শিক্ষার ক্লাস থেকে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ১ মে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “অযথা হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যেই নড়াইল জেলা জামায়াতের মহিলা বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপিকা হোসনে আরা জেসমিন ও জেলা মহিলা বিভাগের কর্মপরিষদ সদস্যা হোসনে আরা খাতুনসহ ৩৭ জন সাধারণ মহিলাকে পবিত্র কুরআন শিক্ষার ক্লাস থেকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ।

গ্রেফতারকৃত মহিলাগণ তালিমুল কুরআন নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত ক্লাসে পবিত্র কুরআন শুদ্ধ করে পাঠ করা শিখছিলেন। যারা পবিত্র কুরআন শুদ্ধ করে শিখছিলেন তারা সবাই সাধারণ মহিলা। পবিত্র কুরআন শিক্ষার এ ক্লাসের সাথে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই। পবিত্র কুরআন শিক্ষার এ মহৎ কাজে বাধা দিয়ে পুলিশ চরম অন্যায় কাজ করেছে।

উল্লেখ্য যে, নড়াইল জেলা জামায়াতের মহিলা বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপিকা হোসনে আরা জেসমিনের কাজের মেয়ে আলেয়া খাতুনকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অধ্যাপিকা হোসনে আরা জেসমিনের শ্বাশুড়ি আয়েশা খাতুনের বয়স প্রায় একশত বছর। বাসায় তাকে দেখাশুনা করার কেউ নেই। বৃদ্ধা শ্বাশুড়ির খেদমত করার জন্য অধ্যাপিকা হোসনে আরা জেসমিনকে ও কাজের মেয়ে আলেয়া খাতুনকে জরুরীভাবে মুক্তি দেয়া উচিত।

তাই নড়াই জেলা জামায়াতের মহিলা বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপিকা হোসনে আরা জেসমিনসহ পবিত্র কুরআন শিক্ষার ক্লাস থেকে গ্রেফতারকৃত সকল মহিলাকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”