২২ এপ্রিল ২০১৭, শনিবার, ৮:১৮

দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে প্রকাশিত রিপোর্টটি সম্পূর্ণ বাস্তবতা বিবর্জিত ও কাল্পনিক

যারা জামায়াত নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তারা কর্তৃত্ববাদী সরকারের এজেন্ডাই বাস্তবায়নের অপচেষ্টা চালাচ্ছে

দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় “১৫ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাবে জামায়াত!” শিরোনামে আজ ২২ এপ্রিল প্রকাশিত রিপোর্টটির প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মো: তাসনীম আলম আজ ২২ এপ্রিল প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে প্রকাশিত রিপোর্টটি সম্পূর্ণ বাস্তবতা বিবর্জিত ও কাল্পনিক।

আমাদের সময়ের রিপোর্টটির জবাবে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃত্ববাদী সরকারের নানা ষড়যন্ত্র ও জুলুম নির্যাতন মোকাবেলা করে ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে সংগ্রাম করেই টিকে আছে এবং টিকে থাকবে ইনশাআল্লাহ। ১৫ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে জামায়াতের হারিয়ে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীকের ব্যাপারটি সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে। কাজেই এ সব বিষয় নিয়ে কোন আগাম মন্তব্য করা অনৈতিক ও বেআইনী।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নির্বাচন মুখী গণতান্ত্রিক ইসলামী সংগঠন। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই দেশবাসীর কাম্য। যারা জামায়াতের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তারা কর্তৃত্ববাদী সরকারের এজেন্ডাই বাস্তবায়নের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

আমাদের সময়ের রিপোর্টে ‘বর্তমানে দু’একজন ছাড়া জামায়াত নেতৃত্বের প্রায় পুরোটাই সুবিধাভোগী ফুলটাইম রাজনীতিবিদ। জামায়াতের এস্টাবলিসমেন্টকে নেড়ে চেড়ে খাওয়া ছাড়া তাদের আর কোন যোগ্যতা নেই।’ মর্মে যে সব কথা লেখা হয়েছে তা জামায়াত সম্পর্কে তাদের চরম অজ্ঞতারই পরিচায়ক।

আমাদের সময় পত্রিকার রিপোর্টটিতে একদিকে লেখা হয়েছে জামায়াত ১৫ বছর রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রীয় থাকা মঙ্গলজনক মনে করছে। পরক্ষণেই লিখেছে যে, জামায়াত জোটগতভাবে নির্বাচন করার জন্য ৬০টি আসনে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আবার লেখা হয়েছে জোটের কাছে জামায়াত ১০০টি আসন চাইবে। তার পরেই লেখা হয়েছে জামায়াত অন্য কোন দলের প্রতীক নিয়ে নয়, স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করবে। এ ধরনের স্ববিরোধী লেখা থেকেই বুঝা যাচ্ছে যে, আমাদের সময় পত্রিকার রিপোর্টটি সম্পূর্ণ অসত্য। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট লিখে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।

তাই জামায়াত সম্পর্কে অবাস্তব রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”