বিশ্ব যুব দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লালমনিরহাট জেলার যুববিভাগের উদ্যোগে ১২ আগস্ট যুববিভাগের জেলা সভাপতি, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলুর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সম্মানিত টিম সদস্য অধ্যাপক আজিজুর রহমান সরকার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও লালমনিরহা জেলা আমীর অধ্যাপক আতাউর রহমান।
আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট আবু তাহের, জেলা সহকারী সেক্রেটারি হাফেজ শাহ আলম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি জনাব আবু রায়হান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আই বি ডাব্লিউ এফ এর সেক্রেটারী জনাব আনোয়ারুল ইসলাম রাজু, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি জনাব জাহাঙ্গীর আলম, লালমনিহাট জেলা সভাপতি হাফেজ ইউনুস আলী প্রমুখ।
প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, “পৃথিবীর ইতিহাসে নবী-রাসূলগণ যুবকদের সাথে নিয়েই দাওয়াত ইলাল্লাহ এবং ইসলামী বিপ্লব সফল করেছেন। তাই আজকের প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি, মাদক ও জুলুম মুক্ত রাষ্ট্র গঠনে যুবসমাজের ভুমিকার বিকল্প নেই। একটি দেশের সমাজ পরিবর্তনের জন্য এবং যে কোনো বিপ্লবের জন্য যুবকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ফরাসি বিপ্লব, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব এবং ইসলামের বিজয়সহ পৃথিবীতে যত বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে সবক্ষেত্রে যুবকদের ভূমিকা ছিল অনন্য।”
এ্যাডভোকেট আকন্দ বলেন, “এক গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৪০% হচ্ছে যুবক। এই যুবকদের টার্গেট করে মাদকের বিস্তার ও মাদক ব্যবসার চক্রান্ত হচ্ছে। একটি কুচক্রী মহল মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যুব সমাজকে ধ্বংস করতে চায়। এই চক্রের অপতৎপরতা রোধ করতে না পারলে দেশের তরুণ ও যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে।”
এ্যাডভোকেট আকন্দ আরো বলেন, “শুধু আইন তৈরি করে মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। দেশের তরুণ ও যুব সমাজকে ইসলামের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং ইসলামী অনুশাসন মেনে চলতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের তরুণ ও যুবকদের ইসলামের আলোকে উন্নত নৈতিক চরিত্র গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। যুবসমাজের অন্তরে আল্লাহভীতি পয়দা করে তাদেরকে যোগ্য ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে তৈরি করতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নানা প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করে থাকে। এ কারণেই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের মাঝে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার কোনো নজির আজ পর্যন্ত কেউ দেখাতে পারেনি। তাই মাদকসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে জাতিকে বাঁচাতে এবং মানবতার মুক্তির জন্য জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের জাতি গঠনমূলক কাজে ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।”