১ এপ্রিল ২০১৭, শনিবার, ৫:৪৩

মেঘনায় ট্রলার ডুবে ৬ নারী নিহত ও ৮ জন লোক নিখোঁজের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ

কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই সম্প্রতি দুর্ঘটনায় মানুষ নিহত হওয়ার সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বেড়ে গিয়েছে

গত ২৮ মার্চ বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীতে ট্রলার ডুবিতে ১৭ জন লোক নিহত ও ৩ জন নিখোঁজ এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার চর কিশোরগঞ্জে ৩০ মার্চ মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবে ৬ নারী নিহত ও ৮ জন লোক নিখোঁজের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ১ এপ্রিল প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক ও নৌ দুর্ঘটনায় যেভাবে মানুষ নিহত হচ্ছে তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সড়ক ও নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই সম্প্রতি দুর্ঘটনায় মানুষ নিহত হওয়ার সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বেড়ে গিয়েছে।

ট্রলার চালকদের অদক্ষতা ও ট্রলারের ফিটনেস না থাকা এবং অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার কারণেই বার বার এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এ ট্রলার ডুবির ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এই সব দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান এবং এ সকল দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবার-পরিজন ও আহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

ট্রলার দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন আমি তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি এবং জামায়াতের সংশ্লিষ্ট শাখা সমূহকে ও সমাজের বিত্তবানদের তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।”