বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা ভারতের আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ভারত সরকার বাংলাদেশের নিকট জমি চেয়ে যে অনুরোধ করেছে তাতে গভীর উদ্বেগ ও বিস্ময় প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ৮ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা ভারতের আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ভারত সরকার বাংলাদেশের নিকট জমি চেয়ে যে অনুরোধ করেছে তাতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও বিস্মিত হয়েছি। ভারতের এ অনুরোধে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও বিস্মিত।
বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ। এ দেশটি বিশ্বের ঘন বসতিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। এমনিতেই সাড়ে ১৬ কোটি জনসংখ্যার ভারে বাংলাদেশ জর্জরিত। তার উপরে ভারতের এত জমি থাকতে আগরতলা বিমান বন্দর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের নিকট জমি প্রদানের জন্য অনুরোধ জানানোর উদ্দেশ্য কী? বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের ভূখণ্ড নেওয়ার পরিকল্পনা বাংলাদেশের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি একটি মারাত্মক হুমকি বলেই দেশবাসী বিশ্বাস করে। ভারতের এ অনুরোধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সাথে সাংঘর্ষিক। কারণ এর সাথে বাংলাদেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত।
আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি যে, ভারত সরকার আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের নিকট জমি দানের জন্য এক বছর আগে অনুরোধ জানালেও বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি এখন পর্যন্ত জনসম্মুখে প্রকাশ করছে না কেন? সরকার বিষয়টি রহস্যজনকভাবে গোপন রাখছে কার স্বার্থে?
বাংলাদেশের জনগণ মনে করে যে, ভারত সরকার যেখানে তিস্তা ও গঙ্গার পানি এবং তিনবিঘা করিডোরসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর সমাধান না করে দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁলিয়ে রেখেছে, সেখানে নতুন করে ভারতের আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের নিকট জমি চাওয়ার বিষয়টি খুবই রহস্যজনক।
আমি আশা করি সরকার বিষয়টি দেশের জনগণের সামনে প্রকাশ করবেন এবং দেশের জনগণের মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। ভারতের অনুরোধের কাছে নতি স্বীকার করে সরকার জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তা দেশের জনগণ কখনো মেনে নিবে না।”
