১৯ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, ৯:০১

দুর্নীতি নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের বেআইনি, নীতিহীন ও অন্যায় বক্তব্যের তীব্র নিন্দা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ গত ১৮ জুলাই ডিসিদের সম্মেলনে “বিধি অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সরল বিশ্বাসে কোন দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়লে সেটি অপরাধ হবে না” মর্মে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ১৯ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ গত ১৮ জুলাই ডিসিদের সম্মেলনে ‘বিধি অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সরল বিশ্বাসে কোন দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়লে সেটি অপরাধ হবে না’ মর্মে যে বেআইনী, নীতিহীন ও অন্যায় বক্তব্য দিয়েছেন আমি তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দুদকের চেয়ারম্যান এ ধরনের অন্যায় বক্তব্য দিতে পারেন না। এ ধরনের গর্হিত বক্তব্য দেয়ার কোন এখতিয়ার তার নেই।

দুর্নীতি করা একটি গর্হিত অপরাধ। দুদকের চেয়ারম্যানের এ ধরনের বক্তব্য দুর্নীতিবাজদের আরও উৎসাহিত করবে। যেখানে সারা দেশে দুর্নীতির সয়লাব বয়ে যাচ্ছে এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত সেখানে দুদকের চেয়ারম্যানের এ ধরনের বক্তব্য জলন্ত আগুনে পেট্রোল ঢেলে দেয়ার শামিল। সরল বিশ্বাসে কেউ কখনো দুর্নীতি করে না। অসৎ উদ্দেশ্যেই মানুষ দুর্নীতি করে। দুদকের চেয়ারম্যান ঐ বক্তব্য দিয়ে দুর্নীতিবাজদের পক্ষেই মূলত সাফাই গেয়েছেন। তার এ বক্তব্যে জাতি বিক্ষুব্ধ, বিস্মিত ও মর্মাহত। তার এ বক্তব্যে বিবেকবান মানুষের মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে যে, তিনি কীভাবে এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারলেন? তার এ ধরনের বক্তব্য দানের উদ্দেশ্য কী? তার এ বক্তব্যে দুদকের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে থেকে এ ধরনের অসাংবিধানিক ও বেআইনী বক্তব্য দিয়ে তিনি প্রকারান্তরে গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্বে থাকার নৈতিক বৈধতা হারিয়েছেন। তাই এই বিষয়টি আমলে নেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।