১৪ জুলাই ২০১৯, রবিবার, ৩:১১

দেশে বিরাজমান সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলমত-নির্বিশেষে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান

দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য সাহায্য নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াবার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ ও সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ১৪ জুলাই প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, “দেশে বিরাজমান সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিতে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং সাহায্য নিয়ে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা দলমত-নির্বিশেষে দেশবাসী সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

অবিরাম বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে যমুনা, তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, সুরমা, কুশিয়ারা, ধলাই, খোয়াই, কংস, হালদা, মাতা মুহুরী নদী অববাহিকায় অবস্থিত রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান প্রভৃতি জেলায় ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিতে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

বন্যার পানিতে মানুষের ঘর-বাড়ি, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জমির উঠতি ফসল, শাক-সবজি, বীজতলা, মাছ চাষের পুকুর ইত্যাদি তলিয়ে গিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ক্রমেই বন্যার পানি বাড়ছে এবং দেশের মধ্যাঞ্চলের দিকেও বন্যার পানি ধেয়ে আসছে। পদ্মার পানিও বাড়তে শুরু করেছে। বন্যা দুর্গত অঞ্চলে খাদ্য, খাবার বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসক এবং চিকিৎসা সামগ্রীর তীব্র অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল ইত্যাদি গৃহপালিত পশু-পাখির আশ্রয় ও খাদ্যের প্রকট অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে পানিবন্দী লোকদের আশ্রয় কেন্দ্রে স্থান দেয়া প্রয়োজন। বন্যাদুর্গত অঞ্চলে পানি বাহিত রোগ যেমন কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয় ও পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগের আশংকা দেখা দিয়েছে। বন্যাদুর্গতদের জন্য অতি সত্বর প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, বিশুদ্ধ খাবার পানি, চিকিৎসক, চিকিৎসা সামগ্রী, গৃহস্থালী সামগ্রী ও নগদ অর্থ সাহায্য পাঠানো প্রয়োজন। বন্যাদুর্গতদের সাহায্য করার প্রধান দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের কোন ত্রাণ তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।

বিভিন্ন সাহায্য-সামগ্রী নিয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সাহায্য সংস্থা, সংগঠন ও সচ্ছল দানশীল ব্যক্তি বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য সাহায্য নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াবার জন্য আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে আমরা আশা প্রকাশ করছি এ ব্যাপারে সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে তার দায়িত্বশীল ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করবে।”