১৩ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১০:৩১

২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট পেশ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া

অর্থমন্ত্রী জনাব আ.হ.ম মোস্তফা কামাল অনির্বাচিত জাতীয় সংসদে যে মোটা অংকের ঘাটতি বাজেট পেশ করেছেন তা বাস্তবতা বিবর্জিত

আজ ১৩ জুন অনির্বাচিত কর্তৃত্ববাদী সরকারের অর্থমন্ত্রী জনাব আ.হ.ম মোস্তফা কামাল অনির্বাচিত জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জন্য ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ১শত ৯০ কোটি টাকার যে উচ্চাকাঙ্খি মোটা অংকের ঘাটতি বাজেট পেশ করেছেন সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ১৩ জুন প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “অর্থমন্ত্রী জনাব আ.হ.ম মোস্তফা কামাল অনির্বাচিত জাতীয় সংসদে ৫ লক্ষ ২৩ হাজার একশত ৯০ কোটি টাকার মোটা অংকের ঘাটতি বাজেট পেশ করেছেন তা বাস্তবতা বিবর্জিত। গত বছরের বাজেটও সরকার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটও সরকার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে না।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট এডিপি ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ২ হাজার ৭ শত ২১ কোটি টাকা, রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৩ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮শত দশ কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণ ধরা হয়েছে ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা, দেশীয় ঋণ ধরা হয়েছে ৭৭ হাজার ৩শত ৬৩ কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হয়েছে ১লক্ষ ৪৫ হাজার ৩ শত ৮০ কোটি টাকা। বাজেটের প্রায় ৩ ভাগের ১ভাগই ঋণ নির্ভর। এই ঋণের সুদ পরিশোধ করতেই সরকারের নাভিশ্বাস উঠে যাবে। মূদ্রাস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশক ৫ শতাংশ। প্রকৃত পক্ষে মূদ্রাস্ফীতি আরো বাড়বে।

সরকার জিডিবি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮.২ এবং গত বছর জিডিবি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭.৮৬, সেটা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। সরকার নানা ধরনের গোজামিলের আশ্রয় নিয়ে জিডিবি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দাবী করলেও অর্থনীতিবিদগণ তা মানতে রাজি নয়। এবারের জিডিবি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে না। করমুক্ত আয়ের সীমা ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা রাখা হয়েছে। অথচ গত কয়েক বছর যাবতই একই পরিমাণ করমুক্ত আয়ের সীমা রাখা হচ্ছে। এটা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছুই না। বাস্তবতার নীরিখে করমুক্ত আয়ের সীমা অন্তত: ৫ লক্ষ টাকা হওয়া উচিত। সরকার গত বছর রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রা অর্জন করতে পারেনি এবং এবারও তা অর্জন করতে পারবে না। দেশের কর্মক্ষম বেকার লোকদের কর্মসংস্থানের কোন দিক-নিদের্শনা প্রস্তাবিত বাজেটে নেই। সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট জনবান্ধব নয়। প্রস্তাবিত বাজেটে ধণিক শ্রেণী খুশি হলেও দেশের মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে হতাশার বার্তা দিচ্ছে। যেহেতু সরকার জনগণের নির্বাচিত নয়। তাই দেশের সীমিত আয়ের বৃহৎ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থককে উপেক্ষা করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া পরে জানানো হবে।”