১৩ মে ২০১৯, সোমবার, ৯:৫৩

রিমান্ড বাতিল করে অবিলম্বে সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের মুক্তি এবং চিকিৎসার দাবি

গুরুতর অসুস্থ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের রিমান্ড বাতিল করে অবিলম্বে তার মুক্তি এবং চিকিৎসার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ১৩ মে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের একটি মিথ্যা মামলায় ২০ মার্চ কুমিল্লার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি আশা করে ছিলেন তার জামিন আবেদন মঞ্জুর হবে। কিন্তু সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় অসুস্থ অবস্থায় তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

২০১৭ সালে বিদেশের একটি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ডা. তাহেরের কিডনি ট্রান্সপ্লানটেশন করা হয়। এরপর থেকে তাকে নিয়মিত চেকআপ করাতে হয়। আদালতে হাজির হওয়ার পর আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠালে তিনি সেখানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারা কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ইতোমধ্যেই তিনি সকল মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন প্রাপ্ত হন। ৭ মে তিনি উচ্চ আদালতের নির্দেশে কারাগার থেকে বের হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে অন্য একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ঐ মামলায় তিনি এজহারভুক্ত আসামী নন। শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যে তাকে অহেতুক আটক রেখে তার চিকিৎসায় বিঘ্ন ঘটানোর লক্ষ্যেই সরকার তাকে মুক্তি না দিয়ে মিথ্যা মামলায় আটক দেখায়। অত্যন্ত বিস্ময়কর ব্যাপার হল তিনি অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও সরকার তাকে ৫ দিনের জন্য রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে। সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে ৩ দিনের রিমান্ড দেয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ একজন রোগী যিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে সরকার মূলতঃ পরিকল্পিতভাবে তার জীবনকে হুমকির মুখোমুখি করেছে। সরকারের এই ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসার নিন্দা জ্ঞাপনের কোন ভাষা আমাদের জানা নেই।

রিমান্ড বাতিল করে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ করে দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় সরকারের অবহেলা ও ষড়যন্ত্রের কারণে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহেরের কোন ক্ষতি হলে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।”