১৯ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ১০:৫০

জামায়াতে ইসলামী এবং ডা. শফিকুর রহমানকে জড়িয়ে দৈনিক যুগান্তরে যে সব আজগুবি তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় “জামায়াতের কৃষিবিদের স্বীকারোক্তি” শিরোনামে আজ ১৯ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং এর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানকে জড়িয়ে যে সব আজগুবি তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ১৯ জানুয়ারি প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “দৈনিক যুগান্তরের রিপোর্টে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং এর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানকে জড়িয়ে যে সব আজগুবি তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই। আমি এ রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

দৈনিক যুগান্তরের রিপোর্টে উল্লেখিত ও কথিত কৃষিবিদ মোস্তাক আহমেদ খাঁ নামক এক ব্যক্তির পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার থাকাবস্থায় গত ১২ জানুয়ারি ১৬৪-ধারায় দেওয়া বক্তব্যের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর সেক্রেটারি জেনারেলকে জড়িয়ে যুগান্তরের রিপোর্টে যে সব কথা লেখা হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই। সকলেই জানেন যে, গ্রেফতার থাকাবস্থায় চাপের মুখে দেওয়া কোন ব্যক্তির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বাইরে প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনী ও অনৈতিক কাজ।

পুলিশ তার ঐ জবানবন্দি প্রকাশ করার মত বেআইনী কাজ করতে পারে না। তাই ঐ জবানবন্দি প্রকাশ করে যুগান্তর কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ অন্যায় ও বেআইনী কাজ করেছে। ঐ ব্যক্তি আদৌ ঐ ধরনের কোন বক্তব্য দিয়েছে কিনা তা দৈনিক যুগান্তরের সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের জানার কথা নয়। এ থেকেই বুঝা যায় যে, দৈনিক যুগান্তরের রিপোর্টের কোন সত্যতা নেই।

উল্লেখ্য যে, কৃষিবিদ মোস্তাক আহমেদ খাঁর সাথে ডা. শফিকুর রহমানের কখনো কোন সাক্ষাৎ হয়নি এবং তিনি তাকে চিনেনও না। এ রকম একজন ব্যক্তির বরাত দিয়ে ডা. শফিকুর রহমানকে জড়িয়ে যে আজগুবি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তা হাস্যকরই বটে।

আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, যুগান্তরের রিপোর্টে উল্লিখিত এনজিওগুলো তাদের নিজস্ব কার্যক্রম ও পরিকল্পনা মতো চলে। ঐগুলোর সাথে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলের সম্পর্ক থাকা বা তার নির্দেশে চলার প্রশ্নই আসে না। তাদের দেওয়া অর্থে জামায়াতকে শক্তিশালী করা কিংবা জঙ্গিবাদী তৎপরতা বা নাশকতা চালানোর প্রশ্ন অবান্তর।

উল্লেখ্য যে, গত ৯ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তরে অনুরূপ একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমরা ঐ দিনই যথারীতি তার প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। কিন্তু যুগান্তর পত্রিকা কর্তৃপক্ষ আমাদের ঐ প্রতিবাদটি ছাপানোর সৎ সাহস দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। এ থেকেই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, যুগান্তরের রিপোর্টটি সম্পূর্ণ অসত্য। জামায়াতে ইসলামী এবং এর সেক্রেটারি জেনারেলের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করার অসৎ উদ্দেশ্যেই দৈনিক যুগান্তরে পুনরায় একই ধরনের ভিত্তিহীন ও বানোয়াট রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এ ধরনের অসত্য রিপোর্ট প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।

তাই জামায়াতে ইসলামী এবং এর সেক্রেটারি জেনারেলকে জড়িয়ে এ ধরনের ভিত্তিহীন অসত্য রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”