১৭ মে ২০২৪, শুক্রবার

রংপুর জেলা জামায়াতের বার্ষিক সদস্য (রুকন) সম্মেলন অনুষ্ঠিত

গণতন্ত্র হরণকারী এই সরকারের হাত থেকে দেশ ও জাতির মুক্তির জন্য আন্দোলনকে গতিশীল রাখতে হবে- মাওলানা আবদুল হালিম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ মজলুম। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, রিজার্ভ সংকট, গণতন্ত্র ভূলুন্ঠিত, ভোটাধিকার হরণ, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারসহ নানাবিধ অন্যায়, অবিচার ও অনিয়মের কারণে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি আজ সংকটকাল অতিক্রম করছে। এরকম একটি দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থে সংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে এসেছে। দেশের এই বিভীষিকাময় অবস্থায় গণতন্ত্র হরণকারী ম্যান্ডেট বিহীন এই সরকারের হাত থেকে দেশ ও জাতির মুক্তির জন্য সংগঠনকে মজবুত করা এবং আন্দোলনকে গতিশীল রাখা আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজ। তাই তিনি সকল রুকনকে বাইয়াতের চেতনার আলোকে ময়দানে কার্যকর ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান।

১৭ মে শুক্রবার রংপুর জেলা জামায়াত আয়োজিত জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রব্বানীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হকের সঞ্চালনায় বার্ষিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আবদুল হালিম এসব কথা বলেন। সম্মেলনে পবিত্র কুরআন থেকে দারস পেশ করেন কুড়িগ্রাম জেলা আমীর মাওলানা আব্দুল মাতিন ফারুকী।

মাওলানা আবদুল হালিম সম্মেলনে উপস্থিত রুকনদের ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক তৎপরতাসহ সার্বিক খোঁজ-খবর নেন। তিনি শহীদ দায়িত্বশীলগণের ত্যাগ ও কোরবানির কথা স্মরণ করে দিয়ে বলেন, আমাদেরকে সময়, শ্রম, অর্থ, মেধা একথায় জান ও মাল কোরবানির নজরানা পেশ করার মাধ্যমে সংগঠনকে মজবুত করে শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধের চেতনা নিয়ে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে এবং দেশ ও জাতির প্রত্যাশা পূরণে আমাদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এজন্য রুকনদেরকে ৪টি মান অর্জন করতে হবে। ১. দ্বীনি মান ২. নৈতিক মান ৩. চারিত্রিক মান ও ৪.সাংগঠনিক মান। এই মান অর্জনের মাধ্যমে আমাদেরকে সমাজ ও মানুষের কাছে মডেল হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক ভাইদেরকে শহীদি কাফেলার এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আমাদের দরদ ভরা মন নিয়ে তাদেরকে কাছে টানতে হবে এবং আমাদের এই চেষ্টা বিরামহীন ও বিরক্তহীনভাবে চলমান থাকবে, ইনশাআল্লাহ।

রুকন সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুল গনি, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক রায়হান সিরাজী, মানবসম্পদ বিভাগীয় সেক্রেটারি অধ্যাপক মুত্তালিব হোসেন, ওলামা বিভাগীয় সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ নূরুল আমিন, সমাজ কল্যাণ সেক্রেটারি ও তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক বজলুর রশিদ মুকুল, তারবিয়াত সেক্রেটারি মাওলানা মোস্তাক আহমেদ ও জেলা কর্মপরিষদের সদস্যসহ রুকনগণ।