১৭ মে ২০২৪, শুক্রবার

ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশকে একটি সেকুলার রাষ্ট্রে পরিণত করার পাঁয়তারা চলছে- হামিদুর রহমান আযাদ

বাংলাদেশকে একটি সেকুলার রাষ্ট্রে পরিণত করার পাঁয়তারা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি জনাব এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ।

১৭ মে শুক্রবার সকাল ৭টায় স্থানীয় একটি মিলনায়তনে ঝিনাইদহ জেলা জামায়াত আয়োজিত জেলা আমীর অধ্যাপক আলী আজম মোহাম্মদ আবু বকরের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি আব্দুল আওয়ালের সঞ্চালনায় রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব হামিদুর রহমান আযাদ এই মন্তব্য করেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন জেলা আমীর অধ্যাপক আলী আজম মোহাম্মদ আবুবকর। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআনের দরস পেশ করেন ঝিনাইদহ জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক মতিয়ার রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইহ জেলা সহকারী সেক্রেটারী অধ্যক্ষ আব্দুল হাই প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সেকুলার রাষ্ট্রে পরিণত করার পাঁয়তারা চলছে। ধর্মীয় মূল্যবোধ বিরোধী শিক্ষা ব্যবস্থা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। শিক্ষা কারিকুলামে নাচ-গান ও যৌন শিক্ষার নামে অনৈতিক বিষয় অন্তর্ভূক্ত করে সুকৌশলে ইসলামী কৃষ্টি-কালচার, তাহযিব-তামাদ্দুন ধ্বংসের ভয়ঙ্কর পাঁয়তারা চলছে। শরীফা গল্পের অবতারণা করে ট্রান্সজেন্ডারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। শিক্ষাবিদদের অভিমত, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা যোগ্য-দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি করবে না বরং অযোগ্য, অথর্ব, চরিত্রহীন ও দুর্নীতিবাজ নাগরিক তৈরি করবে, যা দেশের জন্য অশনি সংকেত। তাই ধর্ম ও নৈতিকতাহীন শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জামায়াত কর্মীদের অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। লুটপাট করে দেশের ব্যাংকিং খাতকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ একদম তলানীতে এসে ঠেকেছে। বর্তমানে যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে দুই মাসের অধিক আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোবারক হুসাইন বলেন, “জামায়াত কর্মীদের সমাজ কর্মী হতে হবে। সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপদাপদে সর্বাগ্রে জামায়াত কর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। বিপদ-আপদ আসলেই যেন মানুষ জামায়াত কর্মীদের কাছে ছুটে আসে, এমন আস্থাভাজন হতে পারলেই তৃণমূল সংগঠন মজবুতি অর্জন করবে ইনশাআল্লাহ। সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই হল সবচেয়ে কার্যকর দাওয়াতি কাজ। তাই জামায়াত কর্মীদেরকে সমাজ ও রাষ্ট্রের সমস্যা সমাধানের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে এবং দেশের যেকোনো সংকটে জামায়াত কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।”

এছাড়াও সম্মেলনে বিভিন্ন উপজেলা জামায়াতের আমীর ও জেলা সংগঠনের রুকনগণ উপস্থিত ছিলেন।