আরও

১৪ আগস্ট ২০২৩, সোমবার

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন ও সাবেক এমপি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রাহিমাহুল্লাহ এর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন ও সাবেক এমপি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রাহিমাহুল্লাহ-এর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ১৪ আগস্ট এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।

তিনি শোকবাণীতে বলেন, আমি অত্যন্ত বেদনার সাথে জানাচ্ছি যে, বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন, প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও বিশ্ববরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ, কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রাহিমাহুল্লাহ মহান রাব্বি কারিমের ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়ার সফর শেষ করে ১৪ আগষ্ট রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আল্লামা সাঈদী অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় কুরআনের খিদমত করেছেন। বিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের তাফসীরের জন্য। তাঁর তাফসির শুনে বহু অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদে তিনি কুরআনের মাহফিল করে মানুষের কাছে আল্লাহর বানী পৌঁছে দিয়েছেন। বাংলাদেশে ইসলামী জাগরণ সৃষ্টির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি তাঁর যৌবন কাটিয়েছেন কুরআনের তাফসীরের ময়দানে আর শেষ দিনগুলো কাটিয়েছেন কারাগারে।

ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আজীবন সংগ্রাম করেছেন এই মহান দাঈ ইলাল্লাহ। সরকারের জুলুম-নির্যাতন তাঁকে আদর্শ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে বিচ্যূত করতে পারেনি। মিথ্যা ও যড়ন্ত্রমূলক মামলায় তাঁকে আমৃত্যু কারাদ- দিয়ে তাঁর ওপর চরম অন্যায় করা হয়েছে। তাঁর ইন্তিকাল বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তাঁর এ শূন্য স্থান সহজে পূরণ হবার নয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর শূন্যতা কাটিয়ে উঠার তাওফীক দিন, আমীন।

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তাঁর এই গোলামকে ক্ষমা করুন, তাঁর ওপর রহম করুন এবং তাঁকে সম্মানিত করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উঁচু মাকাম দান করুন। আল্লাহ পাক তাঁর এ মৃত্যুকে শহীদি মৃত্যু হিসেবে কবুল করুন, আমীন।

আমি প্রিয় দেশবাসীকে ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহবান জানাচ্ছি। তিনি যে আদর্শের জন্য কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে মজলুম অবস্থায় ১৩টি বছর কাটিয়ে মহান রবের দরবারে হাজির হয়েছেন, সেই দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরীক হয়ে তাঁর অসমাপ্ত কাজ আঞ্জাম দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি। তাঁর পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সকল পর্যায়ের সহকর্মীদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সবরে জামিল দান করুন, আমীন।

তাঁর জানাযা ও দাফনের সময় শীঘ্রই জানানো হবে, ইনশাআল্লাহ।