২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, শুক্রবার, ৮:০০

৩ বছরের প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে ৭ বছরে ব্যয় বেড়ে ১ হাজার ৪৮ কোটি টাকা

মার্চ মাসে চালু হচ্ছে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটড এক্সপ্রেসওয়ে। এ উড়াল সড়ক চালু হলে নগরীর টাইপাস থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যেতে সময় লাগবে ২০ মিনিট। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ৫৪ ফুট প্রশস্ত এবং ৪ লেনের ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।

নগরীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় তিন বছর। ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

পরে ২০২২ সালে নকশা ‘সংশোধন’ করে এবং আরও ১ হাজার ৪৮ কোটি টাকা (আগের ব্যয়ের চেয়ে ৩২ শতাংশ) ব্যয় বাড়িয়ে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। একই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুনে শেষ করার সময় পুনঃনির্ধারণ করা হয়। ফলে প্রকল্পটির মেয়াদ বেড়ে হয় ৭ বছর। ব্যয় বেড়ে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকায় দাঁড়ায়।

চউক সূত্র বলছে, চট্টগ্রামের যানজট নিরসনসহ বহুমুখী লক্ষ্য সামনে নিয়ে পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি যুক্ত হবে লালখান বাজারে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের সাথে। এতে পতেঙ্গা থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত ২২ কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে।
প্রকল্পের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান বলেন, ফ্লাইওভারের বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। টাইগারপাস থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত অংশটি প্রায় পুরোপুরি তৈরি। শুধু সাইডের রেলিং, লাইটিংসহ কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এসব কাজ শেষ করার জন্য রাতে-দিনে কাজ চলছে।

‘আমবাগানের দিকে একটি র‌্যাম্প নেমেছে। এই র‌্যাম্প দিয়ে গাড়ি পতেঙ্গায় গিয়ে নামতে পারছে। আবার পতেঙ্গা থেকে ওঠা গাড়ি টাইগারপাসে এসে নামতে পারছে। সাইডের রেলিংসহ কিছু কাজ বাকি থাকায় আমরা এখনো সাধারণ যানবাহনকে ফ্লাইওভারে অ্যালাউ করছি না। অচিরেই আমরা এই অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেব।’

তিনি বলেন, পতেঙ্গা থেকে আসা ফ্লাইওভারের দুই লেন লালখান বাজার ম্যাজিস্ট্রেট কলোনির সামনে নেমে যাবে। বাকি দুই লেন জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের পাশ দিয়ে ওয়াসা মোড়ের কাছে মুরাদপুর থেকে আসা আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের সাথে যুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। এই অংশটির বেশিরভাগ কাজ হয়ে গেছে। মূল ফ্লাইওভার থেকে ৮টি এলাকায় ১৫টি র‌্যাম্প নির্মাণ করা হবে। এগুলো শহরের যান চলাচলে গতি আনবে। এসব র‌্যাম্পের সহায়তায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কানেক্টিভিটি বেড়ে যাবে বলে জনিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান।

https://www.dailysangram.info/post/549586