২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৬:০৯

পাহাড়সম বকেয়া নিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত

পাহাড়সম বকেয়া নিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। অপারেশনাল প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫০০ কোটি ডলারের দেনা আছে। মিডিয়ার এসব রিপোর্টের সঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার সংকটের কথা তুলে ধরে বলেন, প্রতি মাসে ১০০ কোটি ডলার পাওনা পরিশোধে বাধ্যবাধকতা আছে। এই সংকট সমাধানে ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারদের (আইপিপি) পাওনা পরিশোধের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ‘সোভারিন বন্ড’ ইস্যু করা হবে। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে সুপরিচিত ব্যাংকগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে বিশেষ বন্ড চালু করেছে সরকার। প্রাথমিকভাবে এর মূল্য ১২,০০০ কোটি টাকা। বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বকেয়া বিল ২০.৬২ বিলিয়ন টাকা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিলকে কমিয়ে ৪২২.৩ বিলিয়ন টাকায় আনা হবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ফাইবার টু ফ্যাশন। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের কাছে ২৫,০০০ কোটি টাকা এবং পেট্রোবাংলার কাছে ৮,০০০ কোটি টাকার দেনা আছে।

আদানি, শেভরনের মতো বিদেশি এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের মতো কোম্পানির কাছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দেনা আছে সরকার।

এর ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। পাওনা পরিশোধের ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও পাহাড়সম দেনা বাকি থাকার কারণে জ্বালানি সরবরাহকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে অপারেশনাল ইস্যু এবং জ্বালানি সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে। সব মিলিয়ে লোডশেডিংয়ে ভূমিকা রাখছে। আমদানিনির্ভরতা এবং ডলারের সংকটের ওপর আরও চ্যালেঞ্জ যোগ করেছে। যদি সরকার বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদেরকে স্থানীয় মুদ্রায় পাওনা পরিশোধ করতে চায় তবুও বছরে এই খাতের প্রয়োজন ১২ বিলিয়ন ডলার। তবে বিনিময় হার নিয়েও মতবিরোধ রয়ে গেছে। দেনা পরিশোধের বাধ্যবাধকতা মিটাতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তাতে প্রতিদিন তিন কোটি ৩০ লাখ ডলার ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। এক্ষেত্রে সরকার উৎপাদন খরচ ও বিক্রয়মূল্যের মধ্যে ফারাক মিটাতে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে। ৫০,৮৫৮.২৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করা সত্ত্বেও উল্লেখ করার মতো ৪৭,৭৮৮.১৭ কোটি টাকা বিপিডিবি’র লোকসান হয়েছে বলে বলা হয়েছে।

https://mzamin.com/news.php?news=98733