২৯ জানুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ১২:০৪

ডলারের চড়া মূল্য ও ভারতে নানা শর্ত : নিত্যপণ্য আমদানি নিয়ে শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

রমজান সামনে রেখে ছোলা, পেঁয়াজ, তেলসহ আট খাদ্যপণ্য বাকিতে আমদানির সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব পণ্যের মধ্যে তিনটির শুল্ক মওকুফের আবেদনও করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর)। তবে ডলারের চড়া মূল্য ও ভারত অংশে খাদ্যদ্রব্যের ওপর নানা শর্ত বহাল থাকায় চাহিদামতো পণ্য আমদানি নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বাণিজ্যি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মতে, কাজ শুরু করেছে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ইতোমধ্যে রমজান উপলক্ষে শুরু হয়েছে ছোলাসহ বিভিন্ন খাদ্যের আমদানি। তবে ডলারের চড়া মূল্য ও ভারত অংশে খাদ্যদ্রব্যের ওপর নানা শর্ত বহাল রয়েছে। নানা জটিলতায় ছয় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে চিনি আমদানি। ভারতে অতিরিক্ত শুল্ককর আরোপে পেঁয়াজের স্বাভাবিক আমদানি বন্ধ। মসলা-জাতীয় পণ্যের বেড়েছে অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক।

বেনাপোল আমদানি রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, রমজান মাসের জন্য প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল, দুই লাখ টন চিনি এবং এক লাখ টন ছোলার চাহিদা রয়েছে। খাদ্যদ্রব্য আমদানিতে ভারত সরকারের এত শর্ত মেনে পণ্য আমদানি করা কষ্টকর।

আমদানিকারক মাহাবুবুর রহমান জানান, ডলারের সরকারি রেট প্রতি ডলার ১১৫ টাকা হলেও ব্যাংকে পরিশোধ করতে হচ্ছে ১২৬ থেকে ১২৮ টাকা পর্যন্ত। চড়া দামে কিনে কিভাবে কম দামে বিক্রয় সম্ভব! এ ছাড়া ভারত সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের রফতানি মূল্য ১৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করে রেখেছে।

সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের বেনাপোল শাখার ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন জানান, রমজানে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আমদানিকারকদের পণ্যের এলসি খুলতে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/809951